বুধবার, ১৫ জুন, ২০২২ ০০:০০ টা

ক্ষুর দিয়ে শেভিং

ক্ষুর দিয়ে শেভিং

আগের দিনে আজকালের মতো আধুনিক শেভিং ট্রিমার ছিল না। সে সময় দাড়ি কাটার একমাত্র ভরসা ছিল ক্ষুর। সুদূর অতীতে এটাই ছিল ম্যানুয়াল শেভিংয়ের মূল পদ্ধতি। যদিও এখন ট্রিমার ও রেজরের ভিড়ে ক্ষুর দিয়ে শেভিংয়ের ট্রেন্ড টিকে থাকা অনেকটা অবিশ্বাস্য। তবে এই পদ্ধতিতে নিখুঁত শেভিংয়ের জন্য কৌশলী হওয়া প্রয়োজন।

 

ক্ষুর দিয়ে শেভিং একটু সময়সাপেক্ষ। তাই এখানে সময় দেওয়ার ব্যাপারে অনীহা থাকলে না আগানোই ভালো। ক্ষুর দিয়ে শেভিংয়ের পর কন্ডিশনিং মাস্ট। এতে ত্বকের জ্বালাপোড়া কিংবা অস্বস্তিভাব কমে আসবে। কোন ব্লেড সঠিক, তা বুঝতে ব্লেডের ওজন বিবেচনায় রাখা যায়। কেননা, ব্লেডের ওজন শেভ করার সঠিক চাপ নির্ধারণ করবে। হালকা ওজনের ক্ষুর দিয়ে শেভ করার সময় ভারী ক্ষুরের তুলনায় বেশি চাপ প্রয়োগ করতে হবে। তবে ক্ষুরের ওজন ভারী হোক কিংবা হালকা, প্রথম স্ট্রোকে সব সময় হালকা চাপ প্রয়োগ করে টুলটি পরীক্ষা করে নেওয়া ভালো। অন্য যে কোনো শেভিং প্রক্রিয়ার মতো ক্ষুর দিয়ে শেভ করার আগেও ত্বক প্রস্তুত করে নিতে হবে। শুরুতে একটি প্রি-শেভ অয়েল মাখিয়ে ত্বককে ময়েশ্চারাইজ করে নিতে হবে। তারপর স্বচ্ছ শেভিং জেল মেখে রাখতে হবে। ক্ষুর দিয়ে শেভ করার সময় মুখের সঙ্গে ৩০ ডিগ্রি কোণে তা ধরার পরামর্শ দেওয়া হয়। ক্ষুর দিয়ে শেভ করার সময় ভালো ফল পেতে অন্য হাত দিয়ে ত্বক টান টান করে ধরে রাখা চাই। তারপর ক্ষুর দিয়ে হালকা চাপ দিতে হবে। তাহলে মুখ ও আঙুল- দুটোই কাটার আশঙ্কা থেকে মুক্ত থাকবে।

 

শেভ করার পরপরই ত্বকে ঠান্ডা পানির ঝাপটা দিতে হবে। এরপর মুখে দিতে হবে ময়েশ্চারাইজার। খুব জোরে ঘষে ঘষে না লাগিয়ে আলতো করে চাপ দিয়ে দিয়ে ময়েশ্চারাইজার লাগানো উত্তম। কেননা ক্ষুর দিয়ে শেভ করার পর ত্বকে বেশি ঘষাঘষি করলে ত্বকের ক্ষতি হতে পারে।

 

লেখা : মোহাম্মদ সুজন

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর