ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এখন থেকে ভারী কোন যানবাহন প্রবেশ করতে পারবে না। এছাড়াও নীলক্ষেত থেকে টিএসসি অভিমুখী সড়কে বিকেল তিনটা থেকে রাত নয়টা পর্যন্ত যানবাহন নিয়ন্ত্রণে পাহারা বসানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবন সেমিনার কক্ষে প্রক্টরিয়াল কমিটির সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর এ কে এম গোলাম রাব্বানীর সভাপতিত্বে সভায় সহকারী প্রক্টরবৃন্দ, স্টেট অফিস, বিএনসিসি ও রোভার স্কাউটের প্রতিনিধি, ডাকসুর পরিবহন সম্পাদক শামস-ই-নোমান, ঢাবি সাংবাদিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মাহদী আল মুহতাসিম নিবিড় উপস্থিত ছিলেন।
সভায় ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরীন রাস্তা দিয়ে লরি, তেলের ট্যাংকার, বড় ট্রাকসহ সকল ভারী যানবাহন প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে তা কঠোরভাবে পালন করতে নির্দেশ দেওয়া হয়।
এছাড়াও শাহবাগ, দোয়েল চত্ত্বর, শহিদুল্লাহ হল সংলগ্ন এশিয়াটিক সোসাইটির গেট, চাঁনখারপুল-ডিএসসি, পলাশী ও নীলক্ষেত মোড় দিয়ে ক্যাম্পাসে যানবাহন প্রবেশ নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে আলোচনা হয়। এসব প্রবেশমুখ দিয়ে অতিরিক্ত যানবাহনের প্রবেশ ঠেকাতে প্রাথমিকভাবে প্রক্টরিয়াল টিম, বিএনসিসি, রোভার ও স্বেচ্ছাসেবকদের সমন্বয়ে পৃথকভাবে পাহারা বসানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আজ থেকেই এসব জায়গায় পাহারা বসানো হতে পারে।
এছাড়ও সভায় ক্যাম্পাসে ছিনতাই রোধ, ভাসমান বস্তি উচ্ছেদ, টোকাই, ভিক্ষুক ও হিজরাদের দৌরাত্মরোধে ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সভার সিদ্ধান্তের বিষয়ে প্রক্টর এ কে এম গোলাম রাব্বানী ‘বাংলাদেশ প্রতিদিন’কে বলেন, ছিনতাই রোধ, ভাসমান বস্তি উচ্ছেদ, টোকাই ইত্যাদি সমস্যার সমাধানে আমরা এক ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছি। এর বাহিরে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ভারী যান চলাচল পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়ার বিষয়ে ক্যাম্পেইনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হচ্ছে। এছাড়াও বিভিন্ন জায়গায় পরীক্ষামূলকভাবে স্বেচ্চাসেবক টিম দিয়ে যানবাহন নিয়ন্ত্রণ করা হবে।
এ বিষয়ে সকলের সহযোগিতা চেয়ে তিনি বলেন, আমরা শিক্ষাবান্ধব এবং নিরাপদ ক্যাম্পাস গড়তে চেষ্টা করছি, যা শিক্ষার্থীদের সর্বোচ্চ সুবিধা নিশ্চিত করবে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল