সিলেট বিভাগের কোটি মানুষের উন্নত চিকিৎসার একমাত্র ভরসাস্থল এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল। কিন্তু চিকিৎসা নিতে এসেই রোগী ও তাদের স্বজনদের পোহাতে হয় নানা জঞ্জাল, এমন অভিযোগ দীর্ঘদিনের। এছাড়া অভিযোগ রয়েছে হাসপাতালের বিভিন্ন স্থানে কর্মরত সিকিউরিটি গার্ড ও ওয়ার্ডের কর্মচারীদের উপর। উৎকোচ ছাড়া রোগীর স্বজনদের প্রবেশ কিংবা পর্যাপ্ত সেবা প্রদান করেন না তারা।
এসব সমস্যার সঙ্গে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নতুন করে যোগ হয়েছে চুরির সমস্যা। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে এ সমস্যা ধড়া পরেছে।
গত ৯ মে হাসপাতালের ৩য় তলার ৯নং ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন এক রোগীর ওষুধ চুরি হয়। পরে জানা যায় হাসপাতালে আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে চাকুরিরত কর্মচারী নাসির এসব ওষুধ চুরি করেছেন। পরে তার বিরুদ্ধে কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন ওই রোগীর স্বজন ছাতক উপজেলার আশরাফ উদ্দিন।
এছাড়া এর আগেও এভাবে বিভিন্ন ওয়ার্ডে প্রায়ই রোগীর ওষুধ চুরির ঘটনা ঘটেছে বলে জানান অনেক রোগীর স্বজনরা।
এদিকে, নিজের আত্মীয় পরিচয় দিয়ে হাসপাতালে এক্সরে রুমে বাইরের রোগীদের এক্সরে করার অভিযোগ রয়েছে ইমরান নামের এক কর্মচারীর বিরুদ্ধে। লাইনের বাইরে থেকে মানুষ ঢুকিয়ে এক্সরে করে ৩ থেকে ৪ শত টাকা করে নেয় সে।
এমন অভিযোগ করে সিলেট সদর উপজেলা খাদিমনগর ইউনিয়নের রোগির স্বজন মোস্তফা কামাল বলেন, আমার মাকে নিয়ে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হলে ডাক্তার আমার মায়ের এক্সরে করা জন্য বলেন। তখন আমি এক্সরে রুমে এলে ইমরান নামে এক ব্যক্তি নিজেকে মেডিকেলে স্টাফ পরিচয় দিয়ে বলেন, লাইনে না দাড়িয়ে তাকে কিছু টাকা দিলেই তিনি দ্রুত এক্সরে করিয়ে দেবেন। তার কথায় রাজি হয়ে এক্সরে করানোর পর তিনি আমার কাছে ৪ শত টাকা দাবি করেন।
এসব অভিযোগের ব্যপারে ওসমানী হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. আবুল কালাম আজাদের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, মুঠোফোনে বক্তব্য দেয়ার ব্যপারে তাদের কিছু সীমাবদ্ধতা আছে। সরাসরি অফিসে এসে যোগাযোগ করার জন্য বলেন তিনি।
বিডি প্রতিদিন/২৯ মে ২০১৯/আরাফাত