রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) গাঁজা সেবক করাকে কেন্দ্র করে মারামারির ঘটনায় দুই শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদে এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাইন্যান্স বিভাগের ২০১৮-১৯ সেশনের শিক্ষার্থী সৌরভ শেখ বন্ধন, পেন্টিং ডিসিপ্লিনের আলী আকবর ফয়েজী অপু ও গ্রাফিক্স ডিসাইন ডিসিপ্লিনের পুলক।
এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক বলেন, গাজা সেবনকে কেন্দ্র করে ঝামেলার কথা জেনেছি। ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। প্রকৃত ঘটনা এবং অভিযুক্তদের চিন্তিত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার বিকাল ৫টার দিকে চারুকলা অনুষদে রফিকের দোকানের সামনে বসে ছিল সৌরভ শেখ ও তার এক সহপাঠী। সেখানে পুলক ও অপু আসেন এবং তাদের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে সৌরভের মাথায় হেলমেট দিয়ে আঘাত করে পুলক। এতে সৌরভের মাথা কেটে আহত হন। এ ঘটনা সৌরভ সহপাঠীদের জানালের ৮/১০ জন ঘটনাস্থলে আসেন এবং পুলক ও অপুকে মারধর করে আহত করেন। এদের মধ্যে কয়েকজন ছাত্রলীগের কর্মী ছিলেন। তবে প্রাথমিকভাবে তাদের পরিচয় জানা যায়নি। এসময় রফিকের দোকানে ভাঙচুর করা হয়। প্রক্টরিয়াল টিম ও পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আহতরা বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্রে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে চলে গেছে।
দোকানি রফিকের অভিযোগ, শিক্ষার্থীদের মধ্যে গাঁজা সেবন নিয়ে ঝামেলা হয়। এ ঘটনার জেরে কয়েকজন দোকানে ভাঙচুর চালানো হয়। তারা ছাত্রলীগ করে বলে জেনেছি। এ ঘটনার বিচার চান তিনি।
আহত বন্ধন শেখ বলেন, চারুকলায় বসে ছিলাম হঠাৎ কয়েকজন এসে পরিচয় জানতে চান। পরিচয় দিলে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তারা তর্ক করতে শুরু করে। তখন পুলক ও অপু ঘটনাস্থলে আসে এবং কয়েকজন মিলে আমাকে মারধর শুরু করে। একজন পিছন থেকে আমার মাথায় আঘাত করলে কেটে যায়।
পুলকের অভিযোগ, অপু ভাইয়ের সঙ্গে চারুকলায় একজন ঝামেলা করছে জেনে ঘটনাস্থলে আসি। এসে দেখি সৌরভ। সে আমার পূর্ব পরিচিত। তারা কয়েকজন অপু ভাইকে তুইতোকারি করছিল। তাকে বলি তুমি তো জুনিয়র, সিনিয়রদের সম্মান দিয়ে কথা বল। এটা বলায় সৌরভসহ কয়েকজন আমার উপর চড়াও হয় এবং মারধর করে।
ফরেজী অপু বলেন, ঝামেলার কথা জেনে ঘটনাস্থলে সমাধানের জন্য যাই এবং কথা বলে চলে যেতে বলি। কিন্তু সৌরভসহ অনেকে আমার সঙ্গে খারাপ আচরণ করে এবং আমার গাড়ি ভাঙচুর করে। তখন পুলকসহ কয়েকজন এসে তাদের ওপর চড়াও হলে ঝামেলা বাধে।
জানতে চাইলে শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুল্লাহ-হিল-গালিব বলেন, প্রক্টর দপ্তরে উভয়কে নিয়ে বসা হয়েছিল। তাদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি থেকে এটা হয়েছে। ফলে সমস্যা সমাধান হয়েছে। এতে ছাত্রলীগের কোন সম্পৃক্ততা নেই।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত