এশিয়ান কাপে অস্ট্রেলিয়ানরা তৃতীয়বারের মতো অংশ নিচ্ছে। ২০০৭ সালে প্রথমবার কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে বিদায় নিলেও ২০১১ সালে সকারুররা খেলেছিল ফাইনাল। সেবার এশিয়ান ফুটবলের সেরা শক্তি জাপানের কাছে পরাজয় স্বীকার করেছিল ওশেনিয়া মহাদেশের প্রতিনিধিরা। গতবার ব্যর্থ হলেও এশিয়ান কাপ জয়ের লক্ষ্যে এবার দুরন্ত গতিতেই এগিয়ে চলেছে সকারুরা। স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া গতকাল সেমিফাইনালে ২-০ গোলে সংযুক্ত আরব আমিরাতকে হারিয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করেছে। এশিয়ান কাপে প্রথম শিরোপা জয়ের পথে অস্ট্রেলিয়ার সামনে বাঁধা কেবল দক্ষিণ কোরিয়া।
সংযুক্ত আরব আমিরাত কোয়ার্টার ফাইনালে এশিয়ান কাপের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন জাপানকে হারিয়ে সেমিফাইনালে উঠেছিল। তবে অস্ট্রেলিয়ার সামনে আরবরা তেমন কোনো প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারেনি। ম্যাচের শুরু থেকেই আধিপত্য বিস্তার করে সকারুরা। ম্যাচের ৩ মিনিটেই অস্ট্রেলিয়াকে ১-০ গোলে এগিয়ে দেন ট্রেন্ট সেইনসবারি। ১৪ মিনিটে স্বাগতিকদের ২-০ গোলে এগিয়ে দেন জেসন ডেভিডসন। এরপর আর গোল করার প্রয়োজনই হয়নি সকারুদের। সংযুক্ত আরব আমিরাত পুরো নব্বই মিনিটে কোনো গোলের দেখা পায়নি। নিজেদের দেশে এশিয়ান কাপ জয়ের লক্ষ্য নিয়েই খেলতে নেমেছিল অস্ট্রেলিয়া। সেমিফাইনালে সংযুক্ত আরব আমিরাতকে হারিয়ে স্বপ্ন পূরণের পথে এগিয়েই চলেছে সকারুরা। এশিয়ান কাপের ইতিহাসে সবচেয়ে সফল দেশগুলোর মধ্যে একটা দক্ষিণ কোরিয়া। কেবল দুইবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বলেই নয়, তিনবার ফাইনাল খেলেছে তারা। এছাড়া বেশিরভাগ টুর্নামেন্টেই দক্ষিণ কোরিয়া সেমিফাইনাল পর্যন্ত পৌঁছেছে। তাছাড়া এশিয়ান ফুটবলের সেরা প্রতিনিধিদেরও একটা দক্ষিণ কোরিয়া। সবমিলিয়ে এবারের এশিয়ান কাপে ফেবারিটও তারাই। ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ানদের সামনে কঠিন প্রতিপক্ষ হিসেবেই দেখা দিবে দক্ষিণ কোরিয়া। টুর্নামেন্ট শুরুর আগেই ভক্তদের শিরোপা জয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল সকারুরা। টুর্নামেন্ট জুড়ে নিজেদের ফেবারিট নামের প্রতি সুবিচারও করেছে তারা। আগামী শনিবার এশিয়ান কাপের ফাইনালে মুখোমুখি হবে অস্ট্রেলিয়া-দক্ষিণ কোরিয়া। শুক্রবার তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচে মুখোমুখি হবে ইরাক-সংযুক্ত আরব আমিরাত।