বিশ্বকাপের সেই প্রথম আসর থেকেই নিউজিল্যান্ড দল 'ডার্ক হর্স'। গ্রুপ পর্বে দুর্দান্ত খেলে তারা আটকে যায় সেমিফাইনালেই। বিশ্বকাপের আগে কিউইদের ফেবারিটের তালিকাতেও রাখা হয় না। কিন্তু এবারের বিশ্বকাপে ফেবারিটের তালিকাতেই রাখা হয়েছে ব্লাক ক্যাপসদের। তবে ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক অধিনায়ক রাহুল দ্রাবিড় ও গ্রায়েম স্মিথ মনে করেন, এবারের বিশ্বকাপ শিরোপা জিতেও যেতে পারে নিউজিল্যান্ড। একে তো অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে তারা বিশ্বকাপের সহ-আয়োজক তার ওপর সব ক্রিকেটারই দুর্দান্ত ফর্মে। কী বোলিং, কী ব্যাটিং -দুই বিভাগেই দারুন নিউজিল্যান্ড। রাহুল দ্রাবিড় বলেন, 'এবার নিউজিল্যান্ডের পেস আক্রমণ খুবই চমৎকার। তাই বিশ্বকাপে চমক দেখাতে পারে দলটি।' গ্রায়েম স্মিথ বলেন, 'ঘরের মাঠে কিউইরা খুবই শক্তিশালী। নিউজিল্যান্ডের মাঠ ছোট হলেও সেখানে অন্যদের মানিয়ে নেওয়া খুবই কঠিন। তাছাড়া সাম্প্রতিক খুবই ভালো খেলছে তারা।' তবে ঘরের মাঠে খেলা বলে কিউইরা যেমন সুবিধা পাবেন তেমনি বাড়তি চাপও থাকবে। আর এই চাপ সামলাতে পারলেই কেবল নিউজিল্যান্ডের স্বপ্ন পূরণ হতে পারে বলে মনে করেন দ্রাবিড়। স্মিথ বলেন, 'এই টুর্নামেন্টে নজরকারার মতো সামর্থ্য তাদের আছে। এই দলটা খুবই একসাইটিং। তবে নকআউট পর্বে ভালো করাই আসল।' ব্রেন্ডন ম্যাককালামের মতো মারকুটে ব্যাটসম্যান দলের নেতৃত্বে থাকায় নিউজিল্যান্ডটা আরো বেশি আগ্রাসী হয়ে উঠেছে। তাদের সামর্থ্য কতটুকু তা শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ওয়ানডে সিরিজেই দেখিয়ে দিয়েছে। তবে স্মিথের ধারণা, ম্যাককালামের দায়িত্বে দলে নতুন করে গতি এসেছে। এই দলটা আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে আলাদা। সবার মাঝেই রয়েছে জয়ের ক্ষুধা। দ্রাবিড়ের দৃষ্টিতে টেকনিক্যালিও অনেক এগিয়ে এবারের নিউজিল্যান্ড। তবে কেন উইরিয়ামসনের মতো তরুণ ব্যাটসম্যানের জন্য দলটি অনেক বেশি ভারসাম্যপূর্ণ হয়েছে। উইলিয়ামসনের ব্যাটিং দেখে মুগ্ধ দ্রাবিড়। ভারতীয় তারকা বলেন, 'সে খুবই ক্রিয়েটিভ ব্যাটসম্যান। তার হাতে রয়েছে দুর্দান্ত শট। দলের স্কোর দ্রুত বাড়িয়ে দিতে তার জুড়ি নেই। সত্যিই সে একজন ক্লাসিক্যাল ব্যাটসম্যান, ফিল্ডিংয়ের অবস্থান দেখে নিয়ে সহজেই গ্যাপ বের করে ফেলে।' ড্যানিয়েল ভেট্টরির মতো অলরাউন্ডার দলে থাকায় নিউজিল্যান্ডের শক্তিমত্তা অনেক বেড়ে গেছে। তার অভিজ্ঞতাই দলকে অনেক দূর নিয়ে যেতে পারে বলে মনে করেন দ্রাবিড়। তবে কিউইদের প্রধান শক্তি তাদের পেস বোলিংয়ে।