এপ্রিল-মে মাসে বাংলাদেশ সফরে আসার কথা পাকিস্তানের। সফরে দুটি টেস্ট, তিনটি ওয়ানডে ও একটি টি-২০ খেলবেন মিসবাহ-উল হকরা। কিন্তু সফরটি হবে কি না, এখনই নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। সফর আসা-না আসার বিষয়ে কোনো নেতিবাচক কথা বলেনি পাকিস্তান। শুধু জুড়ে দিয়েছে কয়েকটি শর্ত। এতেই শঙ্কার বেড়াজালে আটকে পড়েছে সিরিজটি। দুবাইয়ে আইসিসির সভা চলাকালীন পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) স্পষ্ট করে জানিয়েছে, এপ্রিল-মে মাসে বাংলাদেশ সফরে পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলতে কোনো আপত্তি নেই। সিরিজ খেলতে এলে মোট আয়ের ৫০ শতাংশ রেভিনিউ দাবি করেছে পিসিবি। এছাড়া অনূর্ধ্ব-১৯ ও বাংলাদেশ 'এ' দলকে সফর করতে হবে পাকিস্তান। পাকিস্তানের এমন শর্ত জুড়ে দেওয়ায় ক্রিকেট বিশ্লেষকরা মনে করছেন, চাপে পড়ে গেছে বাংলাদেশ। হয়তো শর্ত মেনে নিতেই হবে বাংলাদেশকে। শর্ত সম্পর্কে বিসিবির সিইও নিজামুদ্দিন চৌধুরী সুজন বলেন, 'পাকিস্তানের শর্তগুলো নিয়ে আমি কিছু বলতে পারব না। এসব আলোচনা হবে বোর্ড সভায়। সেখানেই সিদ্ধান্ত হবে।' বিসিবির সিনিয়র সহ সভাপতি মাহাবুব আনামও বিষয়টি নিয়ে কিছু বলতে রাজি হননি, 'আমি আইসিসির সভায় অংশ নিয়েছি ঠিকই। কিন্তু বিষয়টি জানাবেন বিসিবি সভাপতি।' বিসিবির সিনিয়র সহ-সভাপতি কিংবা সিইও কিছু বলতে না চাইলেও, শোনা যায় সিরিজটির জন্য কিছু ছাড় দিতে প্রস্তুত বিসিবি। পাকিস্তানের সফর নিয়ে ঝামেলা শুরুর মূল কারণ, ২০১০ সালে পাকিস্তান সফরে যাওয়ার কথা ছিল বাংলাদেশের। কিন্তু ক্রিকেটারদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনায় দেশবাসীর প্রতিরোধে বাংলাদেশ যেতে পারেনি। এতে করে আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন পিসিবি। সেটাই তারা জানিয়েছেন দুই পক্ষের আলোচনায়। ০১১-১২ মৌসুমে দুই টেস্ট, তিন ওয়ানডে ও একটি টি-২০ খেলে গেছে পাকিস্তান। ফটিপি মেনে এপ্রিলে-মে মাসে বাংলাদেশে আসার কথা। ২০১৭ সালে ফেব্রুয়ারিতে দুই টেস্ট, তিন ওয়ানডে ও একটি টি-২০ খেলতে যাওয়ার কথা বাংলাদেশের। ওই বছরই বাংলাদেশে সফরের কথা পাকিস্তানের। পাকিস্তান শর্ত জুড়ে দেওয়ায় অনেকটা ঝুলে গেল সিরিজটি। তবে ক্রিকেট বোর্ড যে কোনো উপায়ে সিরিজ আয়োজনে বদ্ধ পরিকর। আর সিরিজটি পুরোপুরি নির্ভর করছে বিসিবির ওপর। আজ বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন ফিরবেন সিঙ্গাপুর থেকে। এরপর পরিচালনা পর্ষদের সভা ডেকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিবেন বিসিবি সভাপতি।