জেবি বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) মানেই যেন বাজে রেফারিং! বিপিএলের প্রথম রাউন্ড থেকে এটাই ছিল চিত্র। চট্টগ্রামের ১৫তম রাউন্ডে এসে অব্যাহত ছিল বাজে রেফারিংয়ের সেই ‘স্বাভাবিক’ চিত্র। আর প্রতিবারই যার শিকার হয়েছে বিগ বাজেটের দল শেখ রাসেল। নিজেদের ১৫তম রাউন্ডে এসেই ফের বাজে রেফারিংয়ের শিকার হয় শেখ রাসেল। আর এবার শেখ রাসেলের দ্বিতীয় প্রতিপক্ষ হিসেবে অবতীর্ণ হলেন বিতর্কিত রেফারি জালাল উদ্দিন ও দুই সহকারি রেফারি। যাদের বেশ কয়েকটি সিদ্ধান্তই যায় বিগ বাজেটের এই দলটির বিরুদ্ধে। শেষ পর্যন্ত ‘১৪’ সদস্যের ফেনী সকারের বিরুদ্ধে বড় জয় পেয়েছে শেখ রাসেল। ম্যাচে ৩-১ গোলে জয় পেল দলটি।
শেখ রাসেল শুরু থেকেই গোছাল ফুটবল খেলছে। কিন্তু প্রতিটি আক্রমণেই যেন বাধা হয়ে দাঁড়ান রেফারি জালাল উদ্দিন ও তার দুই সহকারি। শেখ রাসেলের শুরুর দিকে কয়েকটি আক্রমণ নস্যাৎ হয় রেফারির বিতর্কিত সিদ্ধান্তে। ম্যাচের ১৪ মিনিটে রেফারির একটি সিদ্ধান্ত চমকে দেয় সবাইকে। ফেনী সকারের মধ্য মাঠের খেলোয়াড় সুশান্ত অনেকটা গায়ে পড়ে হাতাহাতি করেন শেখ রাসেলের ফরোয়ার্ড রনির সঙ্গে। কিন্তু রেফারি দুজনকেই লাল কার্ড দেখান।
২০ ও ২৫ মিনিটে দুটি সিদ্ধান্ত যায় শেখ রাসেলের বিরুদ্ধে। ১০ জনের দলে পরিণত হওয়ার পর আরও জ্বলে ওঠে শেখ রাসেল। তৈরি করে একাধিক গোলের সুযোগ। ৩৭ মিনিটে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ আসে শেখ রাসেলের। ইকাঙ্গার জোরালো হেড ক্রসবারের ওপর দিয়ে গেলে গোলবঞ্চিত হয় শেখ রাসেল। ২ মিনিট পর ফের শেখ রাসেলের সংঘবদ্ধ আক্রমণ। ডি বক্সের বাইরে অবৈধভাবে অরূপকে ট্যাকেল করলেও ফাউল দেননি রেফারি। পরের মিনিটে ফের শেখ রাসেলের আক্রমণ। রাজুর নেওয়া অসাধারণ ফ্রি কিক ফিরিয়ে দিয়ে শেখ রাসেলকে বঞ্চিত করেন ফেনী সকারের গোলরক্ষক ওসমান।
৪৩ মিনিটে আবার রেফারিংয়ের শিকার শেখ রাসেল। ৬৩ মিনিটে ফেনীকে এগিয়ে দেন হেলাল। মাঝ মাঠে সতীর্থদের কাছ থেকে বল পেয়ে গোলকিপারকে কাটিয়ে বল জালে জড়িয়ে দেন তিনি। ম্যাচে ১-০ গোলে পিছিয়ে পড়ে শেখ রাসেল। ৬৯ মিনিটে ১-১ গোলে সমতা আসে। রাজুর ফ্রি কিক থেকে রুম্মন অসাধারণ বেক হেড গোল করে দলকে এগিয়ে দেন।
৭৩ মিনিটে পরিকল্পিত আক্রমণ থেকে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ আসে শেখ রাসেলের। নাসিরের ক্রস থেকে বল পান মিশু। ছোট বক্সে বল পেয়েও জালে জড়াতে পারেননি। ফলে সহজ সুযোগ হাতছাড়া হয় শেখ রাসেলের। ৮৪ মিনিটে শেখ রাসেলকে আনন্দে ভাসান বিদেশি খেলোয়াড় ইকাঙ্গা। জামালের কর্নার থেকে ডি বক্সে বল পেয়ে হেড করে গোল করতে ভুল করেননি তিনি। পরের মিনিটে নিজের দ্বিতীয় ও দলের তৃতীয় গোল করে ফেনীর কফিনে শেষ পেরেক ঠোকেন রুম্মন। ইকাঙ্গার ক্রস থেকে বল পেয়ে ৩-১ গোলে এগিয়ে দেন রুম্মন। শেষ দিকে কয়েকটি সুযোগ তৈরি হলেও তা গোলের জন্য যথেষ্ট ছিল না।
বিডি প্রতিদিন/১৮ নভেম্বর ২০১৬/হিমেল