উইকেটরক্ষক বিজে ওয়াটলিং ডাবল ও স্পিন অলরাউন্ডার মিচেল স্যান্টনারের সেঞ্চুরিতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্টের চতুর্থ দিন শেষে চালকের আসনে বসেছে স্বাগতিক নিউজিল্যান্ড। ওয়াটলিং-এর ২০৫ ও স্যান্টনারের ১২৬ রানের সুবাদে ৯ উইকেটে ৬১৫ রানে প্রথম ইনিংসে ঘোষণা করে কিউইরা। ফলে প্রথম ইনিংস থেকে ২৬২ রানে বিশাল লিড পায় নিউজিল্যান্ড। প্রথম ইনিংসে ৩৫৩ রানে অলআউট হয়েছিল ইংল্যান্ড। চতুর্থ দিনের শেষে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করে ৫৫ রানে ৩ উইকেট হারিয়েছে ইংল্যান্ড। তাই ইনিংস হার এড়াতে বাকি ৭ উইকেটে আরও ২০৭ রান করতে হবে ইংল্যান্ডকে।
তৃতীয় দিনই টেস্ট ক্যারিয়ারের অষ্টম সেঞ্চুরির দেখা পান ওয়াটলিং ১৫টি চারে ২৯৮ বলে ১১৯ রানে অপরাজিত থেকে দিন শেষ করেছিলেন তিনি। অন্যপ্রান্তে ৩১ রানে অপরাজিত আছেন স্যান্টনার। চতুর্থ দিন দু’জনই নিজেদের ইনিংস বড় করেছেন। ওয়াটলিং ক্যারিয়ারের প্রথম ডাবল-সেঞ্চুরির দেখা পান। একই সাথে নিউজিল্যান্ডের প্রথম উইকেটরক্ষক হিসেবে টেস্টে ডাবল-সেঞ্চুরি করলেন তিনি। ১৯ ম্যাচের ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরির স্বাদ নিয়েছেন স্যান্টনার।
৪৭৩ বল মোকাবেলায় ২৪ বাউন্ডারি ও এক ওভার বাউন্ডারিতে ডাবল-সেঞ্চুরি পূরণ করে ২০৫ রানে আউট হন ওয়াটলিং। আউট হওয়ার আগে সপ্তম উইকেট জুটিতে স্যান্টনারের সাথে ২৬১ রান যোগ করেন তিনি। নিউজিল্যান্ডের পক্ষে সপ্তম উইকেটে সর্বোচ্চ রানের জুটি এটি। ১২৬ রানে আউট হন স্যান্টনার। তার ২৬৯ বলের ইনিংসে ১১টি চার ও ৫টি ছক্কা ছিলো। তাদের বিদায়ের পর ইংল্যান্ডের বিপক্ষে নিজেদের সর্বোচ্চ ৯ উইকেটে ৬১৫ রানে ইনিংস ঘোষণা করে নিউজিল্যান্ড। বল হাতে ১১৯ রানে ৩ উইকেট নিয়েছেন ইংল্যান্ডের স্যাম কারান।
রানের পাহাড়ে চাপা পড়ে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করে স্যান্টনারের ঘুর্ণিতে পড়ে ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়েছে ইংল্যান্ড। রবি বার্নস ৩১, ডম সিবলি ১২ ও জ্যাক লিচ শুন্য রান করে স্যান্টনারের শিকার হন। ৭ রানে অপরাজিত আছেন জো ডেনলি।
সংক্ষিপ্ত স্কোর :
ইংল্যান্ড : ৩৫৩ ও ৫৫/৩, ২৭.৪ ওভার (বার্নস ৩১, সিবলি ১২, স্যান্টনার ৩/৬)।
নিউজিল্যান্ড : ৬১৫/৯ডি, ২০১ ওভার (ওয়াটলিং ২০৫, স্যান্টনার ১২৬, কারান ৩/১১৯)।
বিডি প্রতিদিন/এনায়েত করিম