পল পগবার কাতার বিশ্বকাপে খেলা নিয়ে শঙ্কা ছিল আগে থেকেই। শেষ পর্যন্ত সেটাই সত্যি হলো। চোট থেকে সেরে না ওঠায় শেষ হয়ে গেল তার বিশ্বকাপে খেলার ক্ষীণ সম্ভাবনাও।
আগামী ২০ নভেম্বর পর্দা উঠবে ফুটবলের সবচেয়ে বড় আসরের। তার আগে হাঁটুর চোট কাটিয়ে ফরাসি মিডফিল্ডারের সেরে ওঠার কোনো সম্ভাবনা নেই বলে সোমবার (৩১ অক্টোবর) জানিয়েছেন তার এজেন্ট।
গত গ্রীষ্মের দলবদলে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড থেকে জুভেন্টাসে যোগ দেন পগবা। এরপর দলটির প্রাক-মৌসুম সফরের সময় ডান হাঁটুতে চোট পান তিনি।শুরুতে বিশ্বকাপ খেলার ঝুঁকি বিবেচনায় অস্ত্রোপচার করানোর পক্ষে ছিলেন না পগবা। পরে অস্ত্রোপচার করাতে রাজি হন তিনি।
ওই সময় তার ক্লাব জুভেন্টাস কোচ মাস্সিমিলিয়ানো আল্লেগ্রি বলেছিলেন, আগামী জানুয়ারির আগে তিনি পগবার মাঠে ফেরার সম্ভাবনা দেখেন না।
গত ১৮ অক্টোবর জুভেন্টাসের অনুশীলনে ফেরেন পগবা। সম্প্রতি ফ্রান্স কোচ দিদিয়ে দেশম বলেন, শতভাগ ফিট না হলে দলে জায়গা মিলবে না ২৯ বছর বয়সী এই ফুটবলারের।
ফুটবল বিষয়ক এক ফরাসি অনুষ্ঠানে সোমবার পগবার এজেন্ট রাফায়েলা পিমেন্তা বলেন, বিশ্বকাপের আগে সুস্থ হয়ে ওঠার সম্ভাবনা নেই ২০১৮ বিশ্বকাপ জয়ী তারকার।
তিনি জানান, খবরটি জানানো অত্যন্ত দুঃখজনক যে অস্ত্রোপচার থেকে সেরে উঠতে পগবার আরও সময় লাগবে। এই কারণে বিশ্বকাপ বিরতির আগে পল (পগবা) ইউভেন্তুস স্কোয়াডে যোগ দিতে পারবে না বা কাতারে ফ্রান্স দলেও থাকবে না।
রাশিয়া বিশ্বকাপে ফ্রান্সের চ্যাম্পিয়ন হওয়ার অভিযানে গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়দের একজন ছিলেন পগবা। ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে ৪-২ গোলে জেতা ফাইনাল একটি গোল করেছিলেন তিনি। ফ্রান্সের হয়ে এখন পর্যন্ত ৯১ ম্যাচ খেলেছেন পগবা, গোল করেছেন ১১টি।
শিরোপা ধরে রাখার অভিযানে পগবাকে না পাওয়া ফ্রান্সের জন্য অনেক বড় ধাক্কা৷ মাঝমাঠের আরেক গুরুত্বপূর্ণ সদস্য এনগোলো কঁতেকে আগেই হারিয়েছে তারা। হ্যামস্ট্রিংয়ের চোট সারাতে অক্টোবরে অস্ত্রোপচার করিয়েছেন কঁতে। তাতে চার মাসের জন্য ছিটকে গেছেন তিনি
বিশ্ব সেরার মুকুট ধরে রাখার মিশনে ‘ডি’ গ্রুপে খেলবে ফ্রান্স। তাদের তিন প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়া, ডেনমার্ক ও তিউনিসিয়া। আগামী ২৩ নভেম্বর নিজেদের প্রথম ম্যাচে দুইবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়া।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ