কানাডার জাতীয় দলের মিডফিল্ডার বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত সামিত সোম। ছুটি কাটাতে কয়েক দিন আগে তিনি তার মা বাবার সাথে দেশে এসেছেন। তার গ্রামের বাড়ি শ্রীমঙ্গলে। পরিবারের সাথে এখানেই তিনি সময় কাটাচ্ছেন। দেশে থাকবেন আরো সাপ্তাহ খানেক।
মঙ্গলবার বাংলাদেশ প্রতিদিনের সাথে কথা হয় সামিত সোমের। তিনি বলেন, সুযোগ পেলে দেশের জাতীয় ফুটবল দলের হয়ে খেলতে চাই। এর কারণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বাংলাদেশ আমার পিতা-মাতার দেশ। এ দেশের সাথে আমার নাড়ির সম্পর্ক। তাই দেশের হয়ে খেলার ইচ্ছা জাগে।
সামিত সোম বলেন, বাংলাদেশের ফুটবল এখন অনেক উন্নতি হয়েছে। সামনে আরো ভালো করবে। প্লেয়ারদের একাগ্রতা নিয়ে খেলতে হবে। লেগে থাকতে হবে। যে যেভাবে পারে ঠিক সেই ভাবেই খেলতে পরে। সফলতা আসবেই।
সামিত সোম বর্তমানে কানাডিয়ান প্রিমিয়ার লীগে খেলছেন এফসি এডমন্টন ক্লাবের হয়ে। চলতি বছরের ডিসেম্বরে এই ক্লাবের সাথে তার চুক্তি শেষ হবে।
২৫ বছর বয়সী মিডফিল্ডার সামিত সোম কানাডার জাতীয় দলের হয়ে দুইটি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন। মিডফিল্ডের দায়িত্ব নিয়ে মাঠে নেমে ফুটবলীয় নৈপুণ্যে নিজের নামকে দিন দিন তুলে নিয়েছেন ভিন্ন উচ্চতায়।
১৯ বছর বয়সে মাঠে নেমে কাঁপিয়েছেন বিশ্ব ক্রীড়া মঞ্চ। ফ্রান্সের সাবেক কিংবদন্তি ফুটবলার থিয়েরি অঁরির অধীনে মেজর লীগ সকারে খেলেছেন সিএফ মন্ট্রিল দলের হয়েও। এর আগে খেলেছেন কানাডার বিভিন্ন স্তরের ফুটবলে। তখনই ফুটবল বিশেষজ্ঞদের চোখে পড়েন তিনি। মেজর লিগে নাম লেখানোর আগে খেলেছেন কানাডার স্কুল পর্যায়ে। ২০১৪ সালে কানাডার অনূর্ধ্ব-১৮ দলে ডাক পান তিনি। এরপর কানাডার অনূর্ধ্ব-২০ দলের অধিনায়ক হিসেবে লিখিয়েছেন নিজের নাম। অভিষেক ম্যাচেই জয় ছিনিয়ে নিয়ে প্রশংসা কুড়ান। মাঠে সামিত সোমের নামের সঙ্গে উচ্চারিত হচ্ছে বাংলাদেশের নামও।
সামিতের পিতা মাতা ১৯৮৯ সালে কানাডায় যান। ১৯৯৭ সালে এডমন্টনে সামিতের জন্ম হয়। মাত্র পাঁচ বছর বয়স থেকেই তিনি ফুটবল নিয়ে মাঠে যাওয়া শুরু করেছিলেন।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল