শনিবার, ১০ অক্টোবর, ২০১৫ ০০:০০ টা

সারদা কেলেঙ্কারিতে বেকায়দায়

সারদা কেলেঙ্কারিতে বেকায়দায়

২০১৩ সালের শুরুর দিকে সারদা কেলেঙ্কারির খবরে পশ্চিমবঙ্গের মিডিয়া সরগরম হয়ে ওঠে। তারপর যতই দিন গড়িয়েছে এই কেলেঙ্কারির উত্তাপ বেড়েছেই। এমনকি এই অর্থ কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে পড়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামটিও। যদিও তিনি বরাবরই এই অভিযোগ অস্বীকার করে বিরোধী দলের চক্রান্ত বলে এক হাত নিয়েছেন। তবে অবস্থা নাজুক হয়ে পড়ে আদালতে নিজের দলের নেতা ও এক সময়ের ঘনিষ্ঠজন কুণাল ঘোষের বিস্ফোরক বক্তব্যে। হাজার কোটি রুপির সারদা কেলেঙ্কারি নিয়ে সংকটে পড়েন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিচারের আওতায় আসেন মমতার তৃণমূলের অভিযুক্ত নেতা। তৃণমূলের বরখাস্ত হওয়া সাংসদ কুণাল কলকাতার সিবিআই আদালতে হাজিরা শেষে বেরিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয় সাংবাদিকদের বলেন, ‘সারদা মিডিয়ার প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সুবিধা যদি সবচেয়ে বেশি কেউ পেয়ে থাকেন, তার নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।’ তার আগে বিচারকের সামনে দাঁড়িয়ে তিনি সরাসরিই দাবি তোলেন। শুধু তাই নয় তিনি সারদা প্রধান সুদীপ্ত সেনের মুখোমুখি করে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদের অনুরোধ করেন আদালতে।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে এত বড় আকারের দুর্নীতির অভিযোগ বিস্মিত করে অনেককে। কারণ মমতাকে ‘সততার প্রতীক’ হিসেবেই জানেন পশ্চিমবঙ্গের সাধারণ মানুষ। তবে এই অভিযোগ তুড়ি মেরে উড়িয়ে দেন মমতা। স্বভাবসুলভ স্পষ্ট কথাই বলেন তিনি।

মমতা উল্টো অভিযোগ করেন, সংবাদমাধ্যমগুলো তার এবং তার দলের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক অপপ্রচার শুরু করেছে। নিজ দলের দুর্নীতিপরায়ন ও সারদা কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত নেতাদের সম্পর্কে বলেন, দলের ভেতর ‘পচা আম’ থাকলে তাদের বাদ দেওয়া হবে।

সারদা কেলেঙ্কারি খবর আসে  পশ্চিমবঙ্গের তারা নিউজ, তারা মিউজিক ও সাউথ এশিয়া টেলিভিশন বন্ধ হয়ে গেলে। এর মালিক প্রতিষ্ঠান সারদা গ্রুপের কেলেঙ্কারির খবর একে একে বেরিয়ে আসতে থাকে। এই গ্রুপের এমএলএম কোম্পানি ‘সারদা সম্পদ’ অল্প সময়ে বেশি লাভের লোভ দেখিয়ে বেআইনিভাবে আমানত সংগ্রহের মাধ্যমে পশ্চিমবঙ্গের হাজার হাজার মানুষের কাছ থেকে কোটি কোটি রুপি হাতিয়ে নিয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। তারপর আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা এই অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনি কার্যক্রম শুরু করে। দুর্নীতির অভিযোগে মমতার নাম জড়িয়ে পড়ার রাজনৈতিক সুযোগ নিতে ভুল করেনি প্রতিপক্ষরা। অবশ্য কথার পিঠে কথা ছুড়ে ছেড়ে কথা বলেননি মমতাও।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর