শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, রবিবার, ০৮ ডিসেম্বর, ২০১৯

বিখ্যাত যুদ্ধ সাংবাদিক

সাইফ ইমন
প্রিন্ট ভার্সন
বিখ্যাত  যুদ্ধ  সাংবাদিক

সাংবাদিকতার ইতিহাস আসলে সাহসিকতার ইতিহাস। শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে সাংবাদিকদের ঝুঁকির মধ্যেই কাজ করতে হচ্ছে। এদের মধ্যে অনেক সাংবাদিক আছেন যারা জীবন হাতের মুঠোয় নিয়ে যুদ্ধক্ষেত্র থেকে সংবাদ প্রচার করে থাকেন। এসব সাংবাদিককেই বলা হয় যুদ্ধ সাংবাদিক। সংবাদ সংগ্রহের জন্য যুদ্ধ সাংবাদিকরা সরাসরি চলে যান যুদ্ধক্ষেত্রে। অনেক সময়ই ঘটে প্রাণহানি। অনেক সাংবাদিক আহত হন। অসীম সাহসী সাংবাদিকরা তবুও থেমে নেই। কিছু যুদ্ধ সাংবাদিক আছেন যারা তাদের অনন্য মেধা, নিষ্ঠা, সততা ও সাহসিকতার জন্য স্মরণীয় হয়ে আছেন। এমন কয়েকজন সাংবাদিকের কথা নিয়ে  আজকের রকমারি-

 

শিফা গার্দি  (ইরান)

শিফা গার্দি নারী সাংবাদিকতায় এক অনন্য নাম। মেধাবী সাংবাদিক শিফার জম্ম ১৯৮৬ সালে ইরানের এক শরণার্থী পরিবারে। ইদবিলের সালাহউদ্দিন ইউনিভার্সিটি থেকে তিনি স্নাতক সম্পন্ন করেন। ২০০৬ সালে শিফা সাংবাদিকতা শুরু করেন। দীর্ঘ এক দশকেরও বেশি সময় সাফল্যের সঙ্গে নিজেকে প্রমাণ করেছেন সাংবাদিকতা পেশায়। শিফা কুর্দি মিডিয়ায় কাজ শুরু করেন ২০১৩ সালে। এরপর চ্যানেলের সবচেয়ে জনপ্রিয় সাংবাদিকদের অন্যতম হয়ে ওঠেন এই নারী। ভয়ানক যুদ্ধক্ষেত্র থেকে টেলিভিশনে সরাসরি সংবাদ সম্প্রচারে সাহসী শিফাকে দেখা গেছে বহুবার। এমনকি জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের বিরুদ্ধে চলমান লড়াইয়ের সংবাদ টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচার করেছেন এই নারী সাংবাদিক। পেশাগত দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি শিফা যুদ্ধক্ষেত্রে আহত সাধারণ মানুষের সাহায্যেও এগিয়ে আসতেন। আবার আহত পশু-পাখি উদ্ধারেও এগিয়ে আসতেন শিফা। কিছুদিন আগে ইরাকের মসুলের যুদ্ধক্ষেত্র থেকে একটি খরগোশ উদ্ধার করেন তিনি। খরগোশটি সুস্থ হলে তাকে কোনো প্রাণী সংরক্ষণাগারে দিয়ে আসা হবে, এমনটাই কথা ছিল। কিন্তু তা দেখে যেতে পারলেন না আলোচিত এই নারী সাংবাদিক। ইরাকের মসুলে জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের বিরুদ্ধে চলমান লড়াইয়ে শিফা গার্দি রাস্তার পাশে পেতে রাখা বোমার বিস্ফোরণে নিহত হন। ইরাকি কুর্দি টিভি স্টেশন রুদায় কর্মরত ৩০ বছর বয়সী শিফা তার মৃত্যুর কয়েক ঘণ্টা আগেও টেলিভিশনে সরাসরি অনুষ্ঠান সম্প্রচার করেছেন। ওই সময় তিনি পশ্চিম মসুল থেকে খবর সংগ্রহ করছিলেন। তার পেছনে দেখা যাচ্ছিল জঙ্গিগোষ্ঠী আইএসের সঙ্গে ইরাকি বাহিনীর লড়াইয়ের দৃশ্য।

 

মার্গারেট ব্রু হোয়াইট (যুক্তরাষ্ট্র)

মার্গারেট ব্রুক হোয়াইট সাংবাদিকতার ইতিহাসে চিরস্মরণীয় হয়ে আছেন   পৃথিবীর ইতিহাসে প্রথম যুদ্ধের খবর সংগ্রহকারী নারী হিসেবে। ঝুঁকিপূর্ণ সংবাদ সংগ্রহের জন্য এক সময় কেবল পুরুষদেরই যোগ্য মনে করা হতো। কিন্তু মার্গারেট ব্রুক হোয়াইট এই ধারণা গুঁড়িয়ে দেন। তিনিই ছিলেন প্রথম বিদেশি ফটোগ্রাফার, যাকে সোভিয়েত ইউনিয়নের ভিতরকার ছবি তোলার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। পৃথিবীর ইতিহাসে যে কজন সাংবাদিক এ উপমহাদেশ বিভাজনের সময়টুকুতে খবর ও ছবি সংগ্রহের কাজে যুক্ত ছিলেন, হোয়াইট ছিলেন তাদের মধ্যে অন্যতম। বিশেষ করে পাক-ভারত বিভাজনের সময় তার তোলা অনেক বিখ্যাত ছবি রয়েছে।

 

 

মুক্তিযুদ্ধে বাঙালির পাশে ছিলেন সাইমন ড্রিং

যুদ্ধ সাংবাদিক হিসেবে খ্যাত সাইমন ড্রিং কলম আর ক্যামেরা হাতে নিজের জীবনবাজি রেখে মুক্তিযুদ্ধে নিরীহ বাংলাদেশিদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছিলেন। ১৯৭১ সালে সাইমন ড্রিংয়ের বয়স ছিল মাত্র ২৭ বছর। তিনি তখন নামকরা পত্রিকা ডেইলি টেলিগ্রাফের একজন সাংবাদিক। অন্যদিকে তখন আন্তর্জাতিক চাপের মুখে পাকিস্তানি সামরিক সরকার ২৫ মার্চ বিশ্বের বড় বড় সংবাদ মাধ্যমগুলোর ৪০ জন সাংবাদিককে বাংলাদেশে আসার অনুমতি দিয়েছিল। সেই সুযোগ কাজে লাগান সাইমন ড্রিং। টেলিগ্রাফের সাংবাদিক হিসেবে বাংলাদেশে আসেন তিনি। পাকিস্তানি সেনাদের নির্যাতনের চিত্র তিনি তুলে ধরেন বিশ্ববাসীর সামনে। এক সময় সাংবাদিকদের জন্য অবস্থা প্রতিকূলে চলে যায়। অসীম সাহসিকতার পরিচয় দিয়ে সাইমন ড্রিং দেশত্যাগ না করে লুকিয়ে থাকেন হোটেল ইন্টার কন্টিনেন্টালে। তিনি ২৭ তারিখে পাকিস্তানি বাহিনীকে ফাঁকি দিয়ে বেরিয়ে আসেন শহরে। ঢাকার বুকে তখন হত্যা, ধ্বংস আর লুটপাটের চিহ্ন। অথচ নিজেদের অপকর্ম লুকাতে পাকিস্তানি সামরিক সরকার চাইছিল বিশ্ব মিডিয়ায় ঢাকাকে স্বাভাবিক হিসেবে দেখাতে। সাইমন ড্রিং পর্যাপ্ত ছবি আর প্রত্যক্ষ ছবি সংগ্রহ করে পালিয়ে যান ব্যাংককে। আর সেখান থেকে প্রকাশ করেন ‘ট্যাংকস ক্রাশ রিভল্ট ইন পাকিস্তান’। বিশ্ববাসীর সামনে তিনি তুলে ধরেন নির্মম বাস্তবতাকে।

তার পাঠানো খবরেই নড়েচড়ে বসে পুরো বিশ্ব। ২৫ মার্চ কালরাতের পর ঢাকার ভয়াবহ নির্মম পরিস্থিতি প্রকাশ করেন তিনি।

 

ডেভিড স্টিফেন রোড (যুক্তরাষ্ট্র)

অনন্য নির্ভীক এক সাংবাদিকের নাম ডেভিড স্টিফেন রোড। নিউইয়র্ক টাইমসের এই সাংবাদিককে নিয়ে পরিস্থিতি এমন দাঁড়িয়েছে যে, যেখানেই যুদ্ধ সেখানেই তিনি। মৃত্যুকে থোড়াই পরোয়া করেন তিনি। ক্রোয়েশিয়ায় সার্ব-বসনিয়া যুদ্ধ প্রথম কভার করেন তিনি। ডেভিডই প্রথম মুসলিম জনগোষ্ঠী নিশ্চিহ্ন করার সার্ব ষড়যন্ত্র বিশ্বের কাছে তুলে ধরেন। তিনি বলকান যুদ্ধের সময়কার সার্বিয়ান ধ্বংসযজ্ঞ তুলে ধরেন তার লেখনীতে। ইরাক যুদ্ধেও কাজ করেন তিনি। আবু গারিব কারাগার ও ইরাকজুড়ে মার্কিন বাহিনীর নির্যাতন তুলে আনেন ডেভিড। ২০০৮ সালে তাকে তালেবানরা অপহরণ করে। সাত মাস পর তিনি মুক্তি পান।

 

 

রবার্ট ফিস্ক  (ইংল্যান্ড)

এই ব্রিটিশ সাংবাদিক বিশ্বজুড়ে খ্যাতি লাভ করেন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন যুদ্ধাভিযানের সংবাদ সংগ্রহ এবং নিরপেক্ষতার সঙ্গে তা পরিবেশনের জন্য। ছাত্রজীবন থেকেই সাংবাদিকতা শুরু করেন ফিস্ক। তিনি মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন ঘটনা ও বিষয় নিয়ে সংবাদ সরবরাহ করে খ্যাতি লাভ করেন। ২০০৮ সাল অবধি তিনি ৩২ বছরে কমপক্ষে ১১টি যুদ্ধক্ষেত্র থেকে সংবাদ সংগ্রহ করেন। ইসরায়েলি আগ্রাসন, ইরানের বিপ্লব, ইরাক-ইরান যুদ্ধ, আফগানিস্তানে সোভিয়েত আগ্রাসন, উপসাগরীয় যুদ্ধ। তিনি জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তিনবার ওসামা বিন লাদেনের সাক্ষাৎকার নিতে সক্ষম হন। তিনি পুলিৎজারসহ অসংখ্য পুরস্কার অর্জন করেন।

 

 

মুক্তিযুদ্ধে ক্যামেরাযোদ্ধা কিশোর পারেখ

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের যে কজন সফল ক্যামেরাযোদ্ধা মুক্তিযুদ্ধের চিত্র সেলুলয়েডবন্দী করেছিলেন তাদের একজন কিশোর পারেখ। কোনো সংবাদ সংস্থার নির্ধারিত অ্যাসাইনমেন্ট ছাড়াই তিনি জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মুক্তিযুদ্ধের ছবি তুলেছিলেন। মাত্র আট দিনে তার তোলা ৬৭টি ছবি মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দলিল হয়ে আছে। এই সাহসী সাংবাদিকের জম্ম ১৯৩০ সালে ভারতে। ১৯ বছর বয়সে প্রথম হাতে ক্যামেরা তুলে নেন। সাউদার্ন ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে চলচ্চিত্র, তথ্যচিত্র ও স্থিরচিত্রের ওপর ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৬১ থেকে ১৯৬৭ সাল পর্যন্ত তিনি হিন্দুস্তান টাইমসে কাজ করেন। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ওপর তার তোলা ছবিগুলো তার জীবনের সেরা ফটোগ্রাফির একটি মূল অংশ হিসেবে গণ্য। ঢাকায় অবস্থানকালীন একজন সিভিলিয়ান হয়ে সরাসরি যুদ্ধক্ষেত্রের ছবি তোলা খুব কঠিন ব্যাপার ছিল। তাই তিনি পাকিস্তান আর্মির পোশাক জোগাড় করে ঐতিহাসিক কাজগুলো সাহসিকতার সঙ্গে সম্পন্ন করেছিলেন। ছবি তুলতে গিয়ে তিনি ভারতীয় সেনাবাহিনীর হাতে ধরাও পড়েছিলেন। এই যুদ্ধ সাংবাদিক ফটোগ্রাফারের ক্যারিয়ারের শুরুতে লাইফ ম্যাগাজিন এবং ইন্টারন্যাশনাল প্রেস ফটোগ্রাফার্স অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত ইন্টারন্যাশনাল ফটোগ্রাফি কনটেস্টে সাতটি ক্যাটাগরির মধ্যে ছয়টি পুরস্কার জিতে আন্তর্জাতিকভাবে পরিচিতি লাভ করেন।

 

যার ক্যামেরায় মুক্তিযুদ্ধ দেখি

যুদ্ধ সাংবাদিকদের কলমযুদ্ধের পাশাপাশি সমান গুরুত্ব নিয়ে লড়ে যান ক্যামেরাযোদ্ধারাও। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকালীন সফল ক্যামেরাযোদ্ধা রশীদ তালুকদার। তার ক্যামেরায় বন্দী হয়েছে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের বহু সাক্ষ্য-প্রমাণ। তার ক্যামেরায় দেখা মুক্তিযুদ্ধই আমরা ছবিতে দেখি। এ দেশের ইতিহাস ও মুক্তিযুদ্ধের কথা উঠলেই এই ফটো সাংবাদিকের নাম উঠে আসে সবার আগে। মুক্তিযুদ্ধকালীন তিনি জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ছবি তুলেছেন শুধু দেশের জন্য। এই ক্যামেরাযোদ্ধা ১৯৬৯ সাল থেকে শুরু করে আজীবন ক্যামেরায় দেশ ও জাতির ইতিহাসকে ধারণ করেছেন। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ অনেক চিত্রই তার হাতে তোলা। ১৯৩৯ সালের ২৪ অক্টোবর পশ্চিমবঙ্গের চব্বিশ পরগনায় জম্ম রশীদ তালুকদারের। রাজশাহীর স্টার স্টুডিওতে মরহুম মোতাহার হোসেনের কাছে হাতেখড়ি হয়। ১৯৬১ সালে যোগ দেন দৈনিক সংবাদে। ১৩ বছর দৈনিক সংবাদে কাজ করেন। ১৯৭৫ সাল থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত একটানা ৩২ বছর দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকায় সিনিয়র ফটো সাংবাদিক হিসেবে কাজ করেছেন। তিনি বাংলাদেশ ফটো-জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিষ্ঠাতা আহ্বায়ক ছিলেন। আলোচিত এই আলোকচিত্রীর ছবি নামে অথবা বেনামে সরকারি, বেসরকারি নানা প্রকাশনা, পোস্টার, ক্যালেন্ডার এবং অসংখ্য বইয়ে ব্যবহৃত হয়েছে। তবে বিখ্যাত এই আলোকচিত্রী নিজস্ব একক অ্যালবাম প্রকাশ করেননি।

 

এলিজা প্যারিস লভজয় (যুক্তরাষ্ট্র)

এলিজা প্যারিস লভজয় ছিলেন আধুনিক সাংবাদিকদের মধ্যে সর্বপ্রথম অপঘাতে মৃত্যুবরণকারী ব্যক্তি। একজন যুদ্ধ-সাংবাদিক হিসেবে তার বিশ্বজুড়ে খ্যাতি রয়েছে। তিনি সাংবাদিকতার পাশাপাশি নিজেই যুদ্ধ করেন সমাজের প্রচলিত দাসপ্রথার বিরুদ্ধে। সোচ্চার ছিলেন তার লেখনীতে। ১৮২৬ সালে ওয়াটারভিল কলেজ থেকে স্নাতক সম্পন্ন করেন লভজয়। দাসপ্রথার বিরুদ্ধে তার সোচ্চার মতামত তাকে একটি জ্যাকসন বিরোধী সংবাদপত্রের সম্পাদক বানিয়ে দেয়। ১৮০২ সালের ৯ নভেম্বর মাইনেতে জম্ম গ্রহণকারী লভজয় বেঁচেছিলেন মাত্র ৩৪ বছর। ১৮৩৭ সালের ৭ নভেম্বর আততায়ীরা তাকে নৃশংসভাবে হত্যা করে।

 

 

উইলফ্রেড ব্রুচেট  (অস্ট্রেলিয়া)

সর্বকালের সেরা সাংবাদিকের তালিকায় যুদ্ধ-সাংবাদিক উইলফ্রেড ব্রুচেটের অবস্থান চতুর্থ। মজার ব্যাপার হলো, দুনিয়া কাঁপানো এই সাংবাদিক তার প্রথম জীবনে অনেক সংগ্রাম করেছেন। এমনকি ভ্যাকুয়াম ক্লিনার ও সেলসম্যানের কাজ করেছেন। ‘ডেইলি এক্সপ্রেস’ ছিল তার জীবনের প্রথম পত্রিকা, যেটির মাধ্যমে তিনি তার সাংবাদিকতার ক্যারিয়ার শুরু করেন। প্রথম সাংবাদিক হিসেবে হিরোশিমায় পারমাণবিক বোমার ভয়াবহ ক্ষতির চিত্র কভার করেন ব্রুচেট। বিশ্বজুড়ে তার এই কাজ দারুণ সাড়া ফেলে। ব্রুচেটের জম্ম ১৯১১ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর অস্ট্রেলিয়ায়। ১৯৮৩ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর এই মহান সাংবাদিক দুনিয়া থেকে বিদায় নেন।

 

 

পিটার অরনেট (নিউজিল্যান্ড)

যুদ্ধ সাংবাদিক পিটার অরনেট যুদ্ধক্ষেত্রের অসাধারণ সব ছবি তোলার জন্য সারা বিশ্বেই বিখ্যাত ব্যক্তিত্ব। তিনি নিউজিল্যান্ডের ইতিহাসে সবচেয়ে জনপ্রিয় সাংবাদিক। ভিয়েতনাম যুদ্ধ চলাকালীন তিনি মৃত্যুভয়কে পেছনে ঠেলে অসাধারণ সব ছবি তুলে আনেন। কাজের ক্ষেত্রে তার অসীম সাহসিকতা সবাইকে তাক লাগিয়ে  দেয়। প্রথম পারস্য উপসাগরীয় যুদ্ধের সময়ও তিনি সাহসিকতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেন। পিটার অরনেটের সবচেয়ে বড় সাফল্য আসে ভিয়েতনাম যুদ্ধের সময় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যুদ্ধক্ষেত্র থেকে পাঠানো অসাধারণ ছবিগুলো। ছবিগুলোকে সবচেয়ে বিখ্যাত যুদ্ধছবি হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ভিয়েতনাম যুদ্ধ কভার করে তিনি ১৯৬৬ সালে পুলিৎজার লাভ করেন।

 

৬০ বছর সাংবাদিকতা পেশায় মার্থা গেলহর্ন

মার্থা গেলহর্ন বিশ্বের প্রথম যুদ্ধ সাংবাদিকতায় নিজেকে নিয়ে গেছেন অনন্য উচ্চতায়।  নারীরাও যে যুদ্ধ সাংবাদিকতায় পুরুষদের চেয়ে কোনো অংশে কম নয়, মার্থা গেলহর্নই প্রথম এই দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন। দীর্ঘ ৬০ বছরের সাংবাদিকতা পেশায় কর্মরত ছিলেন এই প্রথিতযশা সাংবাদিক। সর্বপ্রথম যুদ্ধ সাংবাদিকতা শুরু করেন ১৯৩৬ সালে ঘটে যাওয়া স্প্যানিশ সিভিল ওয়ার কভার করার মধ্য দিয়ে। তারপর কভার করেছেন একে একে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ থেকে শুরু করে ভিয়েতনাম যুদ্ধের মতো দুনিয়া কাঁপানো যুদ্ধগুলোর তরতাজা সব ঘটনা। বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন সময়ে ঘটে যাওয়া যুদ্ধগুলোর ওপরও সংবাদ পরিবেশন করেন যেমন ফিনল্যান্ড, হংকং, মিয়ানমার, সিঙ্গাপুর, ইংল্যান্ড ইত্যাদি। যুদ্ধ সময়ের নানা অভিজ্ঞতা নিয়ে একাধিক বই লিখেছেন মার্থা।

১৯৯০ সালে সাংবাদিকতা থেকে অবসর নিয়ে পুরোদমে লেখক বনে যান মার্থা। ব্রাজিলে চলে আসেন মার্থা। সেখানকার পথশিশুদের সঙ্গে মিশে যান তিনি। এরপর এই পথশিশুদের নিয়ে বই লিখেন। মার্থা জম্ম গ্রহণ করেন ১৯০৮ সালে। যুক্তরাষ্ট্রের মিসিসিপি নদীর পাড় ধরে গড়ে ওঠা শহর সেন্ট লুইসে তার বড় হওয়া। কিন্তু অসীম সাহসী এ সাংবাদিক শেষ বয়সে ক্যান্সারে আক্রান্ত হন। সারা জীবন যুদ্ধের স্টোরি কভার করা অকুতোভয় এই নারী ক্যান্সারের কষ্ট থেকে মুক্তি পেতে বেছে নেন আত্মহত্যার পথ।

 

মধ্যপ্রাচ্য ঘুরে যুদ্ধের সংবাদ তুলে আনেন ক্লেয়ার হলিং ওয়ার্থ

ক্লেয়ার হলিং ওয়ার্থ প্রখ্যাত ব্রিটিশ নারী যুদ্ধ সাংবাদিক। ১৯১১ সালে ইংল্যান্ডের লেস্টারে জম্ম নেওয়া কীর্তিমান সাংবাদিক হলিং ওয়ার্থই প্রথম জার্মান বাহিনীকে পোল্যান্ডে প্রবেশ করতে দেখেন এবং ১৯৩৯ সালের আগস্ট মাসে জার্মানির পোল্যান্ড অভিযান সম্পর্কে সংবাদ প্রচার করেন। এ সময় তিনি পোল্যান্ড থেকে জার্মানি যাচ্ছিলেন। তিনি ভিয়েতনাম, আলজেরিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যের দেশে দেশে ভ্রমণ করতেন সংবাদ সংগ্রহের জন্য। সংবাদদাতা হওয়ার আগে হলিং ওয়ার্থ হাজার হাজার মানুষকে হিটলারের সেনাবাহিনী থেকে বেরিয়ে আসতে সাহায্য করেন ব্রিটিশ ভিসার ব্যবস্থা করে দিয়ে। শেষ জীবনে এই মহীয়সী নারী হংকংয়ে বসবাস করতেন। হংকংয়ের বৈদেশিক প্রতিনিধি ক্লাবের সদস্যও ছিলেন ক্লেয়ার হলিং ওয়ার্থ। ১০৫তম জম্মদিন পালন করেছিলেন এই ক্লাবে। হংকংয়ের বৈদেশিক প্রতিনিধি ক্লাবের সভাপতি তারা  জোসেফ এই সাংবাদিক সম্পর্কে বলেন, হলিং ওয়ার্থ এক অসাধারণ প্রেরণা এবং সম্পদের চেয়েও দামি সদস্য। সাংবাদিক হলিং ওয়ার্থ দ্বিতীয় বিয়ে করেন। ১৯৭০ সালে বেইজিং থেকে কাজ শেষ করে জীবনের শেষ চার দশক তিনি হংকংয়ে বসবাস শুরু করেন। যুদ্ধ সাংবাদিক যিনি প্রথম প্রকাশ করেছিলেন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয়ে যাওয়ার খবর। খ্যাতিমান এই সাংবাদিক হংকংয়ে পরলোক গমন করেন।

এই বিভাগের আরও খবর
প্রাচীন জাতিগোষ্ঠী : যারা ইতিহাসের নীরব স্থপতি
প্রাচীন জাতিগোষ্ঠী : যারা ইতিহাসের নীরব স্থপতি
জেন-জি চায় বৈষম্যহীন উন্নত রাষ্ট্র
জেন-জি চায় বৈষম্যহীন উন্নত রাষ্ট্র
জেন-জির চোখে আগামীর বাংলাদেশ
জেন-জির চোখে আগামীর বাংলাদেশ
বিশ্বের যত অদ্ভুত শহর
বিশ্বের যত অদ্ভুত শহর
প্রামাণিকবাড়ির দিঘি
প্রামাণিকবাড়ির দিঘি
রায়বাহাদুরের দিঘি দখল
রায়বাহাদুরের দিঘি দখল
হাজার বছরের পুরোনো ওয়াদ্দারদিঘি
হাজার বছরের পুরোনো ওয়াদ্দারদিঘি
চমকপ্রদ উপাখ্যান জড়ানো সাগরদিঘি
চমকপ্রদ উপাখ্যান জড়ানো সাগরদিঘি
নয়নাভিরাম ছয় সাগরের কথা
নয়নাভিরাম ছয় সাগরের কথা
নিরাপদ ক্যাম্পাস গড়ার অঙ্গীকার
নিরাপদ ক্যাম্পাস গড়ার অঙ্গীকার
কী আছে ১০ দফা ইশতেহারে
কী আছে ১০ দফা ইশতেহারে
আবিদ-হামিম-মায়েদ পরিষদের ৬৫ প্রতিশ্রুতি
আবিদ-হামিম-মায়েদ পরিষদের ৬৫ প্রতিশ্রুতি
সর্বশেষ খবর
জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে অংশ না নেওয়ার ঘোষণা এনসিপির
জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে অংশ না নেওয়ার ঘোষণা এনসিপির

৮ মিনিট আগে | রাজনীতি

নেত্রকোনায় প্রধান শিক্ষকের রহস্যজনক মৃত্যু, স্ত্রী গ্রেফতার
নেত্রকোনায় প্রধান শিক্ষকের রহস্যজনক মৃত্যু, স্ত্রী গ্রেফতার

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

টাঙ্গাইলে পিকআপ ভ্যান-মাহিন্দ্রা সংঘর্ষে নিহত ২
টাঙ্গাইলে পিকআপ ভ্যান-মাহিন্দ্রা সংঘর্ষে নিহত ২

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ধর্ম অবমাননা কাঠামোগত ইসলামবিদ্বেষের ফল
ধর্ম অবমাননা কাঠামোগত ইসলামবিদ্বেষের ফল

২ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

ভালো নির্বাচনের পথে যত বাধা
ভালো নির্বাচনের পথে যত বাধা

২ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

বাংলাদেশকে ১০ উইকেটে হারিয়ে সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়া
বাংলাদেশকে ১০ উইকেটে হারিয়ে সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়া

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

যেভাবে মিলবে একীভূত পাঁচ ব্যাংকের আমানত
যেভাবে মিলবে একীভূত পাঁচ ব্যাংকের আমানত

২ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

লাখো মানুষের হাতে মশাল, ‘জাগো বাহে, তিস্তা বাঁচাই’ স্লোগানে উত্তাল উত্তরাঞ্চল
লাখো মানুষের হাতে মশাল, ‘জাগো বাহে, তিস্তা বাঁচাই’ স্লোগানে উত্তাল উত্তরাঞ্চল

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

চাকসুতে বিজয়ীদের সংবর্ধনা দিলেন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক
চাকসুতে বিজয়ীদের সংবর্ধনা দিলেন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক

৩ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

বাংলাদেশ থেকে কর্মী নেবে ইরাক
বাংলাদেশ থেকে কর্মী নেবে ইরাক

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান সরাসরি সম্প্রচারের আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার
জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান সরাসরি সম্প্রচারের আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সিদ্ধিরগঞ্জে মান্নানের নির্দেশনায় বিএনপির ৩১ দফার প্রচার-প্রচারণায় লিফলেট বিতরণ
সিদ্ধিরগঞ্জে মান্নানের নির্দেশনায় বিএনপির ৩১ দফার প্রচার-প্রচারণায় লিফলেট বিতরণ

৫ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

জবি ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগ ডিবেটিং ক্লাবের নেতৃত্বে মিলন-কাইফ
জবি ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগ ডিবেটিং ক্লাবের নেতৃত্বে মিলন-কাইফ

৫ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

কুমিল্লা বোর্ডের ৯ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাস করেনি কেউ
কুমিল্লা বোর্ডের ৯ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাস করেনি কেউ

৬ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে খালেদা জিয়াকে আমন্ত্রণ জানাল ঐকমত্য কমিশন
জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে খালেদা জিয়াকে আমন্ত্রণ জানাল ঐকমত্য কমিশন

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

এবার জেন-জি বিক্ষোভে উত্তাল পেরু, ব্যাপক সংঘর্ষ
এবার জেন-জি বিক্ষোভে উত্তাল পেরু, ব্যাপক সংঘর্ষ

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভিক্টোরিয়ায় উৎসবের আমেজে বিদায় অনুষ্ঠান
ভিক্টোরিয়ায় উৎসবের আমেজে বিদায় অনুষ্ঠান

৬ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

এআই দিয়ে কিভাবে দ্রুত ও প্রফেশনালি সিভি বানাবেন
এআই দিয়ে কিভাবে দ্রুত ও প্রফেশনালি সিভি বানাবেন

৬ ঘণ্টা আগে | ক্যারিয়ার

সিলেটে ২০ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন পাসের হার
সিলেটে ২০ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন পাসের হার

৬ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

২০২৬ সালের ঈদুল ফিতরের সম্ভাব্য তারিখ জানিয়েছেন জ্যোতির্বিদরা
২০২৬ সালের ঈদুল ফিতরের সম্ভাব্য তারিখ জানিয়েছেন জ্যোতির্বিদরা

৬ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

জাতিসংঘের শুভেচ্ছাদূত হলেন হানিয়া আমির
জাতিসংঘের শুভেচ্ছাদূত হলেন হানিয়া আমির

৭ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

বীর মুক্তিযোদ্ধা সাহাবুদ্দিন আহমেদের রাষ্ট্রীয় ফিউনারেল প্যারেড অনুষ্ঠিত
বীর মুক্তিযোদ্ধা সাহাবুদ্দিন আহমেদের রাষ্ট্রীয় ফিউনারেল প্যারেড অনুষ্ঠিত

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ছাত্রদলের ৪ নেতা বহিষ্কার
ছাত্রদলের ৪ নেতা বহিষ্কার

৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজে পাসের হার বেশি
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজে পাসের হার বেশি

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

আরও ৩০ ফিলিস্তিনির নিথর দেহ ফেরত দিল ইসরায়েল
আরও ৩০ ফিলিস্তিনির নিথর দেহ ফেরত দিল ইসরায়েল

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কপিল শর্মার ক্যাফেতে ফের গুলিবর্ষণ, নিশানায় ‘সালমানের শত্রু’ গ্যাং
কপিল শর্মার ক্যাফেতে ফের গুলিবর্ষণ, নিশানায় ‘সালমানের শত্রু’ গ্যাং

৭ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

ইসরায়েলি হামলায় হুথির সামরিক প্রধান নিহত
ইসরায়েলি হামলায় হুথির সামরিক প্রধান নিহত

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

একদিনে শিক্ষার্থীরা লাগিয়েছেন ২০ হাজার তালের বীজ
একদিনে শিক্ষার্থীরা লাগিয়েছেন ২০ হাজার তালের বীজ

৭ ঘণ্টা আগে | প্রকৃতি ও পরিবেশ

ফেনীতে ২৪ ঘণ্টায় নতুন ১১ ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত
ফেনীতে ২৪ ঘণ্টায় নতুন ১১ ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

নোয়াখালীতে লাঠিখেলা ও লোকগানের মধ্য দিয়ে বিএনপির লিফলেট বিতরণ
নোয়াখালীতে লাঠিখেলা ও লোকগানের মধ্য দিয়ে বিএনপির লিফলেট বিতরণ

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সর্বাধিক পঠিত
এইচএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশ, পাসের হার ৫৮.৮৩
এইচএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশ, পাসের হার ৫৮.৮৩

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শনিবার খোলা থাকবে ব্যাংক
শনিবার খোলা থাকবে ব্যাংক

৯ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

চাকসুর নতুন ভিপি-জিএস শিবিরের, এজিএস ছাত্রদলের
চাকসুর নতুন ভিপি-জিএস শিবিরের, এজিএস ছাত্রদলের

২১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

‘কিছুদিনের মধ্যে জাতীয় বেতন স্কেল’
‘কিছুদিনের মধ্যে জাতীয় বেতন স্কেল’

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

তিনটি শর্ত না মানলে জুলাই সনদে সই করবে না এনসিপি
তিনটি শর্ত না মানলে জুলাই সনদে সই করবে না এনসিপি

১৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ভারতের ত্রিপুরায় তিন বাংলাদেশিকে নির্মমভাবে হত্যা
ভারতের ত্রিপুরায় তিন বাংলাদেশিকে নির্মমভাবে হত্যা

২২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় কোন বোর্ডে পাসের হার কত?
এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় কোন বোর্ডে পাসের হার কত?

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ওয়ানডেতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড বাংলাদেশের
ওয়ানডেতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড বাংলাদেশের

৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

চট্টগ্রাম ইপিজেডে ভয়াবহ আগুন, নিয়ন্ত্রণে ১৭ ইউনিট
চট্টগ্রাম ইপিজেডে ভয়াবহ আগুন, নিয়ন্ত্রণে ১৭ ইউনিট

১২ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

২০২ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের একজনও পাস করেনি
২০২ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের একজনও পাস করেনি

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হামাস শর্ত না মানলে গাজায় ফের অভিযান চালাবে ইসরায়েল : ট্রাম্প
হামাস শর্ত না মানলে গাজায় ফের অভিযান চালাবে ইসরায়েল : ট্রাম্প

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রাশিয়া থেকে তেল কেনা বন্ধে রাজি হয়েছেন মোদি : ট্রাম্প
রাশিয়া থেকে তেল কেনা বন্ধে রাজি হয়েছেন মোদি : ট্রাম্প

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সিআইএকে অভিযানের অনুমতি দিলেন ট্রাম্প, ভেনেজুয়েলায় সরাসরি মার্কিন হামলা?
সিআইএকে অভিযানের অনুমতি দিলেন ট্রাম্প, ভেনেজুয়েলায় সরাসরি মার্কিন হামলা?

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শেখ হাসিনা-কামালের ১৪০০ বার মৃত্যুদণ্ড হওয়া উচিত: চিফ প্রসিকিউটর
শেখ হাসিনা-কামালের ১৪০০ বার মৃত্যুদণ্ড হওয়া উচিত: চিফ প্রসিকিউটর

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

চীন-তুরস্ক-ফ্রান্স থেকে ১৩২ যুদ্ধবিমান কিনছে ইন্দোনেশিয়া
চীন-তুরস্ক-ফ্রান্স থেকে ১৩২ যুদ্ধবিমান কিনছে ইন্দোনেশিয়া

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কেন সমুদ্রে বিস্ফোরিত হয় আলোচিত ডুবোযান টাইটান, জানাল যুক্তরাষ্ট্র
কেন সমুদ্রে বিস্ফোরিত হয় আলোচিত ডুবোযান টাইটান, জানাল যুক্তরাষ্ট্র

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

অপেক্ষা ফুরাচ্ছে ১২ লাখ শিক্ষার্থীর, এইচএসসির ফল প্রকাশ আজ
অপেক্ষা ফুরাচ্ছে ১২ লাখ শিক্ষার্থীর, এইচএসসির ফল প্রকাশ আজ

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পাসের হার ও জিপিএ-৫ প্রাপ্তিতে এগিয়ে ছাত্রীরা
পাসের হার ও জিপিএ-৫ প্রাপ্তিতে এগিয়ে ছাত্রীরা

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‘এবার এইচএসসির ফলের বাস্তব চিত্র সামনে এসেছে’
‘এবার এইচএসসির ফলের বাস্তব চিত্র সামনে এসেছে’

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‘ভারত-সমর্থিত’ ৩৪ সন্ত্রাসীকে হত্যা করল পাকিস্তান
‘ভারত-সমর্থিত’ ৩৪ সন্ত্রাসীকে হত্যা করল পাকিস্তান

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

২০২৬ সালের ঈদুল ফিতরের সম্ভাব্য তারিখ জানিয়েছেন জ্যোতির্বিদরা
২০২৬ সালের ঈদুল ফিতরের সম্ভাব্য তারিখ জানিয়েছেন জ্যোতির্বিদরা

৬ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

ওয়ানডে দলে ফিরলেন সৌম্য, বাদ নাঈম-নাহিদ
ওয়ানডে দলে ফিরলেন সৌম্য, বাদ নাঈম-নাহিদ

১২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

প্রক্সি হয়ে পাকিস্তানের সাথে সংঘাতে জড়িয়েছে কাবুল : খাজা আসিফ
প্রক্সি হয়ে পাকিস্তানের সাথে সংঘাতে জড়িয়েছে কাবুল : খাজা আসিফ

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মেট্রোরেল চলাচলের নতুন সময়সূচি প্রকাশ
মেট্রোরেল চলাচলের নতুন সময়সূচি প্রকাশ

১১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

১৩৬ দিন অন্ধকারে থাকবে কানাডার যে এলাকা
১৩৬ দিন অন্ধকারে থাকবে কানাডার যে এলাকা

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কলম্বিয়াকে হারিয়ে যুব বিশ্বকাপের ফাইনালে আর্জেন্টিনা
কলম্বিয়াকে হারিয়ে যুব বিশ্বকাপের ফাইনালে আর্জেন্টিনা

১৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ইসরায়েলি হামলায় হুথির সামরিক প্রধান নিহত
ইসরায়েলি হামলায় হুথির সামরিক প্রধান নিহত

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে খালেদা জিয়াকে আমন্ত্রণ জানাল ঐকমত্য কমিশন
জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে খালেদা জিয়াকে আমন্ত্রণ জানাল ঐকমত্য কমিশন

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

যশোর বোর্ডে ২০ কলেজে শতভাগ ফেল
যশোর বোর্ডে ২০ কলেজে শতভাগ ফেল

১৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

পুলিশ কর্মকর্তাদের দুদকে বদলির আদেশ বাতিল
পুলিশ কর্মকর্তাদের দুদকে বদলির আদেশ বাতিল

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রিন্ট সর্বাধিক
গাজায় ফের যুদ্ধের শঙ্কা
গাজায় ফের যুদ্ধের শঙ্কা

প্রথম পৃষ্ঠা

বিএনপির মনোনয়ন চান নারী নেত্রীসহ চারজন
বিএনপির মনোনয়ন চান নারী নেত্রীসহ চারজন

নগর জীবন

নিখোঁজ হবিগঞ্জের ৩৫ যুবক থামছে না স্বজনদের কান্না
নিখোঁজ হবিগঞ্জের ৩৫ যুবক থামছে না স্বজনদের কান্না

পেছনের পৃষ্ঠা

নিগারদের পাত্তাই দিল না অস্ট্রেলিয়া
নিগারদের পাত্তাই দিল না অস্ট্রেলিয়া

মাঠে ময়দানে

সিইপিজেডে ভয়াবহ আগুন
সিইপিজেডে ভয়াবহ আগুন

প্রথম পৃষ্ঠা

মালেক পরিবারের সবাই মিলে লুটপাট
মালেক পরিবারের সবাই মিলে লুটপাট

প্রথম পৃষ্ঠা

ঐকমত্য কমিশন জাতিকে বিভক্ত করেছে
ঐকমত্য কমিশন জাতিকে বিভক্ত করেছে

নগর জীবন

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

ছোট হয়েছে রুটি, বেড়েছে দাম
ছোট হয়েছে রুটি, বেড়েছে দাম

পেছনের পৃষ্ঠা

ইতিহাস রক্ষা করাই আমাদের কাজ
ইতিহাস রক্ষা করাই আমাদের কাজ

প্রথম পৃষ্ঠা

জুলাইয়ে কেউ মাস্টারমাইন্ড ছিল না
জুলাইয়ে কেউ মাস্টারমাইন্ড ছিল না

প্রথম পৃষ্ঠা

বিএনপির অর্ধডজন জামায়াতের একক প্রার্থী
বিএনপির অর্ধডজন জামায়াতের একক প্রার্থী

নগর জীবন

পাকিস্তানের হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ির ধ্বংসাবশেষ অপসারণ
পাকিস্তানের হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ির ধ্বংসাবশেষ অপসারণ

পেছনের পৃষ্ঠা

মানবিকের ফলে ধস ইংরেজিতেও বিপর্যয়
মানবিকের ফলে ধস ইংরেজিতেও বিপর্যয়

প্রথম পৃষ্ঠা

নতজানু
নতজানু

সাহিত্য

শতভাগ পাসে নেই নামিদামি কলেজ
শতভাগ পাসে নেই নামিদামি কলেজ

নগর জীবন

ধর্ম অবমাননা কাঠামোগত ইসলামবিদ্বেষের ফল
ধর্ম অবমাননা কাঠামোগত ইসলামবিদ্বেষের ফল

সম্পাদকীয়

আয়ুপথ
আয়ুপথ

সাহিত্য

ভালো নির্বাচনের পথে যত বাধা
ভালো নির্বাচনের পথে যত বাধা

সম্পাদকীয়

খালেদা জিয়া মেডিকেল বোর্ডের নিবিড় পর্যবেক্ষণে
খালেদা জিয়া মেডিকেল বোর্ডের নিবিড় পর্যবেক্ষণে

প্রথম পৃষ্ঠা

নৌবাহিনীতে চাকরির নামে প্রতারণায় দুজন গ্রেপ্তার
নৌবাহিনীতে চাকরির নামে প্রতারণায় দুজন গ্রেপ্তার

নগর জীবন

ডাকসু-জাকসু-চাকসুর প্রতিচ্ছবি আগামীতে জাতি দেখবে
ডাকসু-জাকসু-চাকসুর প্রতিচ্ছবি আগামীতে জাতি দেখবে

প্রথম পৃষ্ঠা

শুরু হচ্ছে ইসির সিরিজ বৈঠক
শুরু হচ্ছে ইসির সিরিজ বৈঠক

প্রথম পৃষ্ঠা

জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচার অবশ্যই হবে
জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচার অবশ্যই হবে

নগর জীবন

হাসিনার আমলে অনেক নেতার নামে মামলাও হয়নি
হাসিনার আমলে অনেক নেতার নামে মামলাও হয়নি

নগর জীবন

‘ভারত-সমর্থিত’ ৩৪ সন্ত্রাসীকে হত্যা করল পাকিস্তান
‘ভারত-সমর্থিত’ ৩৪ সন্ত্রাসীকে হত্যা করল পাকিস্তান

পূর্ব-পশ্চিম

সমাজমাধ্যমে প্রচার প্রচারণায় মানতে হবে সাত নির্দেশনা
সমাজমাধ্যমে প্রচার প্রচারণায় মানতে হবে সাত নির্দেশনা

পেছনের পৃষ্ঠা

ভোট নিয়ে কোনো আপস নয়
ভোট নিয়ে কোনো আপস নয়

নগর জীবন

নাঈম আউট অঙ্কন ইন
নাঈম আউট অঙ্কন ইন

মাঠে ময়দানে

মুদ্রাস্ফীতি ও কর্মসংস্থানের ফাঁদে নিম্নবিত্ত জনগোষ্ঠী
মুদ্রাস্ফীতি ও কর্মসংস্থানের ফাঁদে নিম্নবিত্ত জনগোষ্ঠী

পেছনের পৃষ্ঠা