সাগরের তলদেশে দাপিয়ে বেড়াতে মিয়ানমারের নৌসেনাদের সব ধরনের প্রশিক্ষণ ও সরঞ্জামাদি দিচ্ছে ভারত।
দ্বিপাক্ষিক সামরিক সহায়তা অংশ হিসেবেই মিয়ানমারকে এ সহায়তা করছে ভারত। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়ার।
প্রতিবেদনে বলা হয়, রাশিয়ার তৈরি তিন হাজার টন ওজনের সাবমেরিন আইএনএস সিন্ধুবীর ৩১ বছরের পুরনো হলেও এটি নিয়মিত সংস্কার করা হয়েছে। বিশাখাপত্তমের হিন্দুস্তান শিপইয়ার্ডে নিয়ে যুক্ত করা হয়েছে নিত্যনতুন প্রযুক্তি ও সমরাস্ত্র।
কবে নাগাদ সাবমেরিনটি হস্তান্তর করা হবে এ বিষয়ে ভারতীয় নৌবাহিনী কিছু না বললেও সূত্রের বরাতে সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, ২০২০ সালের মার্চ-এপ্রিলেই মিয়ানমার সাবমেরিনের ব্যবহার শুরু করবে।
শুধু ভারত থেকেই নয়, মিয়ানমার রাশিয়া থেকেও আরেকটি সাবমেরিন সংগ্রহ করছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৬ সালে বাংলাদেশ চীন থেকে দু’টি সাবমেরিন কিনেছে। তাছাড়া চীনের সহযোগিতাতেই কক্সবাজারে একটি সাবমেরিন ঘাঁটি করার পরিকল্পনা রয়েছে তাদের। এর প্রেক্ষিতে নিজেদের নৌসক্ষমতা বাড়াতে সাবমেরিন সংগ্রহ করছে মিয়ানমার।
সেক্ষেত্রে মিয়ানমারকে সহযোগিতা করায় ভারতের সবচেয়ে বড় স্বার্থ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে চীনের আগ্রসন প্রতিরোধকে। বলা হচ্ছে, মিয়ানমারের ওপর চীনের প্রভাববৃদ্ধি ঠেকানোর পরিকল্পনা থেকেই সাবমেরিন দেওয়াসহ প্রতিরক্ষা খাতে সম্পর্ক জোরদারে নজর দিয়েছে ভারত।
শুধু সাবমেরিন দেওয়াই নয়, ভাইজাগের সাবমেরিন স্কুলে মিয়ানমারের নাবিকদের প্রশিক্ষণও দিচ্ছে ভারত। এছাড়া গত কয়েক বছরে ইয়াংগুনে প্রশিক্ষকদের বেশ কয়েকটি ছোট টিমও পাঠিয়েছে তারা।
বিডি প্রতিদিন/কালাম