যুক্তরাষ্ট্র ১ বিলিয়ন (১০০ কোটি) মার্কিন ডলারের অস্ত্র মরক্কোর কাছে বিক্রি করতে যাচ্ছে। ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিকের ঘোষণার একদিন পর কংগ্রেসে এ সংক্রান্ত একটি নোটিশ পাঠিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। বেনামি একটি সূত্র শুক্রবার জানিয়েছে, মরক্কোকে চারটি ড্রোন এবং লেজার নিয়ন্ত্রিত মিসাইল দেবে যুক্তরাষ্ট্র।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গত বৃহস্পতিবার মরক্কো-ইসরায়েল সম্পর্কোন্নয়ন চুক্তির প্রশংসা করেন। এর পরপরই অস্ত্র বিক্রির খবরটি সামনে আসল। যুক্তরাষ্ট্রে কোনো দেশের কাছে অস্ত্র বিক্রির আগে কংগ্রেসের অনুমতি নিতে হয়। অস্ত্র বিক্রি আটকে দেওয়ার ক্ষমতাও রয়েছে কংগ্রেসের। তবে মরক্কোর ক্ষেত্রে তেমন কিছু ঘটবে না বলে মনে করা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের লোভনীয় প্রস্তাবে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে রাজি হয় মরক্কো। টেলিফোনে ট্রাম্পের প্রস্তাব পাওয়ার পর তাতে রাজি হন মরক্কোর বাদশাহ ৬ষ্ঠ মোহাম্মদ। চুক্তি অনুসারে, বিরোধপূর্ণ পশ্চিম সাহারা অঞ্চলের ওপর মরক্কোর সার্বভৌমত্বের দাবির স্বীকৃতি দেবে যুক্তরাষ্ট্র। ওই অঞ্চলে স্বাধীনতাকামীদের সঙ্গে কয়েক দশক ধরে বিরোধ চলছে মরক্কোর। তবে ফিলিস্তিনিরা মরক্কোর ওই চুক্তির তীব্র বিরোধিতা করেছে। তারা বলছে, ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র গড়ার দাবি পূরণ হওয়ার আগে ইসরায়েলকে স্বীকৃতি না দেওয়ার অবস্থান থেকে সরে গেছে আরব দেশগুলো।
এদিকে, ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার চুক্তির পর সাইবার হামলার শিকার হয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। পারস্য উপসাগরীয় দেশটির সাইবার সিকিউরিটি বিভাগের প্রধান মোহাম্মদ হামাদ আল-কুয়েতি সম্প্রতি এ তথ্য জানিয়েছেন। গত আগস্ট মাসে কয়েক দশকের আরব নীতি ভেঙ্গে সংযুক্ত আরব আমিরাত ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার উদ্যোগ নেয়। এতে ফিলিস্তিনি জনগণ এবং বিশ্বের বহু মুসলিম দেশ ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। সংযুক্ত আরব আমিরাতের পর বাহরাইন এবং সুদানও ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার পথ অনুসরণ করে।
দুবাইয়ে এক সম্মেলনে মোহাম্মদ হামাদ আল-কুয়েতি বলেন, ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার পর সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিরুদ্ধে কিছু লোকজন ব্যাপকভিত্তিক সাইবার হামলা চালিয়েছে। সংযুক্ত আরব আমিরাতের অর্থনৈতিক সেক্টর লক্ষ্য করেই মূলত এসব হামলা চলে। তবে তিনি এ ব্যাপারে বিস্তারিত কিছু জানাননি। এমনকি হামলাকারীরা সফল হয়েছে কিনা সে ব্যাপারেও পরিষ্কার করে কিছু বলেননি তিনি।
কুয়েতি স্পষ্ট করে বলেন, করোনাভাইরাসের মহামারী ছড়িয়ে পড়ার পর সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিরুদ্ধে সাইবার হামলা মারাত্মকভাবে বেড়েছে। তিনি দাবি করেন, সাধারণত বহু হামলা ইরান থেকে হয়ে থাকে তবে সম্প্রতিক হামলার পেছনে কারা ছিল সে কথা তিনি সুনির্দিষ্ট করে বলেননি।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার