বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেন, গত আট বছরে সরকারের আন্তরিক প্রচেষ্টায় রপ্তানি আয় বেড়েছে ১৮ হাজার ৬৪২.২১ মিলিয়ন ডলার। তিনি জানান, ২০০৯-১০ অর্থবছরে রপ্তানি আয় ১৬ হাজার ২০৪.৬৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার হতে বৃদ্ধি পেয়ে ২০১৬-১৭ অর্থ বছরে ৩৪ হাজার ৮৪৬.৮৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে দাঁড়িয়েছে।
স্পিকার ড. শিরিন শারমীন চৌধুরীর সভাপতিত্বে জাতীয় সংসদের মঙ্গলবারের বৈঠকে টেবিলে উত্থাপিত প্রশ্নোত্তর পর্বে মহিলা জাহান আরা বেগম সুরমা’র প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব তথ্য জানান।
ধারাবাহিকভাবে রপ্তানি আয়ের পরিসংখ্যান তুলে ধরে বাণিজ্যমন্ত্রী আরো জানান, ২০০৯-১০ অর্থ বছরে অর্থবছরে রপ্তানি আয় ছিল ১৬ হাজার ২০৪.৬৫ , ২০১০-১১ অর্থবছরে অর্থবছরে রপ্তানি আয় ছিল ২২ হাজার ৯২৮.২২ ডলার, ২০১১-১২ অর্থবছরে অর্থবছরে রপ্তানি আয় ছিল ২৪ হাজার ৩০১.৯০ ডলার, ২০১২-১৩ অর্থ বছরে ২৭ হাজার ০২৭.৩৬ ডলার, ২০১৩-১৪ অর্থবছরে অর্থবছরে রপ্তানি আয় ৩০ হাজার ১৮৬.৬২,২০ ডলার, ১৪-১৫অর্থ বছরে অর্থবছরে রপ্তানি আয় ছিল ৩১২০৮.৯৪ ডলার, ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ৩৪ হাজার ২৫৭.১৮ মার্কিন ডলার।
এদিকে, মো. নজরুল ইসলামের (নারায়ণগঞ্জ-২) তারকা চিহ্নিত লিখিত প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেন, বর্তমানে দেশে লাইসেন্সপ্রাপ্ত কোন মাল্টি লেভেল কোম্পানি নেই। আইনভঙ্গ করিয়া অবৈধভাবে কেউ এমএলএম ব্যবসা পরিচালনা করলে তার বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সকল জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় হতে চিঠি দেওয় হয়েছে। বাণিজ্যমন্ত্রী আরো বলেন, এমএলএম ব্যবসার নামে জনগণকে কেউ যাতে প্রতারিত করতে না পারে সেই লক্ষ্যে সরকার মাল্টি-লেভেল মার্কেটিং কার্যক্রম (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০১৩ এবং মাল্টি লেভেল মার্কেটিং কার্যক্রম (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা ২০১৪ ও সংশোধিত বিধিমালা ২০১৪ প্রণয়ন করেছে। আইন অমান্যকরে কেউ এমএলএম ব্যবসা পরিচালনা করিলে তাহাকে সর্বোচ্চ ১০ লাখ বছর কারাদণ্ড এবং ৫০ লাখ টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ড প্রদানের বিধান রয়েছে।
বাণিজ্য মন্ত্রীর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, এমএকক্স এন মর্ডান হারবাল ফুড লি., রিচ বিজনেস সিস্টেম লি., স্বাধীন অনলাইনন পাবলিক লি., ওয়াল্ড মিশন-২১লি. এবং জার ইলেকট্রনিক পালস লি. নামের পাঁচটি এলএমএম কোম্পানিকে রেজিস্টার, জয়েন্ট স্টক কোম্পানি ও ফার্মসমূহের পরিদপ্তর থেকে লাইসেন্স প্রদান করা হয়েছিল। পরবর্তীতে তদন্তকালে প্রতিষ্ঠানগুলির অনিয়ম পরিলক্ষিত হওয়ায় উক্ত পাঁচ প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স আর নবায়ন করা হয়নি।
এদিকে, বজলুল হক হারুনের (ঝালকাঠি-১) লিখিত প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্য মন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেন, মানুষের ক্রয় ক্ষমতা বৃদ্ধি পাওয়ায় চা-এর অভ্যন্তরীণ চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে উৎপাদন বৃদ্ধি পেলেও রপ্তানি হ্রাস পেয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮/মাহবুব