করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সরকারি নির্দেশনায় কাগজে-কলমে লকডাউন অব্যাহত থাকলেও বাস্তবে সিলেটে লকডাউনের ছিটে-ফোঁটাও চোখে পড়ছে না। তৃতীয় দফা লকডাউন ঘোষণার আগ পর্যন্ত লকডাউনে সিলেট মহানগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ও পয়েন্টগুলোতে ব্যারিকেড, চেকপোস্ট এবং পুলিশসহ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর টহল ও নজরদারির কারণে কমসংখ্যক মানুষ রাস্তায় বের হচ্ছিলেন।
কিন্তু ২২ এপ্রিল ঘোষিত লকডাউনের প্রথম দিন থেকে সিলেটে শিথিল হতে শুরু করে পুলিশের চেকপোস্ট ও নজরদারি। এরই মাঝে গত ২৪ এপ্রিল থেকে মার্কেট ও শপিংমল খুলে দেয়ায় রাস্তাঘাটে মানুষের ভিড় বাড়তে থাকে। বর্তমানে এ পরিস্থতি ভয়াবহ। করোনাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে সবাই ছুটছে মার্কেট-শপিং মলে, ঈদের কেনাকাটা করতে।
সিলেট নগরীর বিভিন্ন এলাকা ও মার্কেট ঘুরে দেখা গেছে, রাস্তাঘাটে মানুষের আনাগোনা আগের চেয়ে কয়েকগুণ বেড়েছে। গণপরিবহনের মধ্যে শুধু বাস ছাড়া রাস্তায় অন্যান্য বিভিন্ন যানবাহন চলাচল করছে নির্বিঘ্নে। কঠোর লকডাউন চলাকালে যেসব রাস্তা ও পয়েন্টে ব্যারিকেড দিয়ে যে চেকপোস্ট তৈরি করা হয়েছিল, সেগুলোর বেশিরভাগে পুলিশ নেই। দু-একজন থাকলেও তারা নিরব দর্শকের ভূমিকায়। নেই মোবাইল কোর্টও।
এদিকে স্বাস্থ্য বিভাগ সংশ্লিষ্ট ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা যদিও বলছেন, সংক্রমণ রোধে দোকানপাট, শপিংমলসহ সব ধরনের কেনাকাটার ক্ষেত্রে অবশ্যই মাস্ক পরিধানসহ স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে মেনে চলতে হবে। কেনাকাটার ক্ষেত্রে দোকানি এবং ক্রেতা উভয়কে অবশ্যই মাস্ক পরিধান করতে হবে। দোকান বা শপিংমলের প্রবেশপথে স্যানিটাইজার বা হাত ধোঁয়ার ব্যবস্থা রাখতে হবে।
কিন্তু সিলেটে এসব নীতিমালাকে তোড়াই তোয়াক্কা করছেন ক্রেতা-বিক্রেতারা। এতে সিলেটে করোনা আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে আশঙ্কা প্রকাশ করছেন সংশ্লিষ্টরা।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত