কঠোর লকডাউনে চারদিন বন্ধ থাকার পর সোমবার থেকে সারাদেশে শুরু হয়েছে সীমিত পরিসরে ব্যাংকিং কার্যক্রম। সকাল ১০টা থেকে বেলা দেড়টা পর্যন্ত চলে লেনদেন। লকডাউন বৃদ্ধির আগাম আশঙ্কায় সকাল থেকেই ব্যাংকে ভিড় করতে থাকেন গ্রাহকরা। দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে তারা ব্যাংকিং কার্যক্রম সম্পন্ন করেন। বেশিরভাগ গ্রাহকই এসেছিলেন টাকা তুলতে।
সোমবার সকাল ১০টায় ব্যাংক খুললেও এক ঘণ্টা আগে থেকে গ্রাহকরা লাইনে দাঁড়ানো শুরু করেন। প্রতিটি ব্যাংকের শাখায় ছিল দীর্ঘ লাইন। ব্যাংকের ভেতর থেকে লাইন রাস্তা পর্যন্ত পৌঁছায়। সীমিত সময়ের মধ্যে এতো গ্রাহকদের চাপ সামলাতে ব্যাংক কর্মকর্তাদের হিমশিম খেতে হয়। লাইনে দাঁড়ানো গ্রাহকদের মুখে মাস্ক থাকলেও সামাজিক দূরত্বের কোন বালাই ছিল না।
ব্যাংকে আসা বেশিরভাগ গ্রাহকই এসেছিলেন টাকা উত্তোলনের জন্য। ডাচ্-বাংলা ব্যাংক সিলেট শাখায় আসা জেলরোডের মিনসাদ আলম জানান, টাকা তুলতে তিনি ব্যাংকে এসেছেন। তার ধারণা লকডাউন আরো এক সপ্তাহ বাড়বে। তাই ব্যাংক থেকে টাকা তুলতে তিনি লাইনে দাঁড়িয়েছেন।
ব্যাংক কর্মকর্তারা জানান, লকডাউনের মধ্যে মাত্র সাড়ে তিন ঘণ্টা ব্যাংকিং কার্যক্রম চলছে। কম সময়ে অধিক সংখ্যক গ্রাহককে সেবা দিতে গিয়ে ব্যাংক কর্মকর্তাদের গলদঘর্ম হতে হয়েছে। তারপরও গ্রাহকদের সেবা নিশ্চিত করা হয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন