৭ সেপ্টেম্বর, ২০২০ ১৬:৩৬

কুড়িগ্রামে করোনার মধ্যে ভাইরাস জ্বরে আক্রান্ত অনেক পরিবার

খন্দকার একরামুল হক সম্রাট, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি

কুড়িগ্রামে করোনার মধ্যে ভাইরাস জ্বরে আক্রান্ত অনেক পরিবার

প্রতীকী ছবি

কুড়িগ্রাম সদরসহ জেলার বিভিন্ন উপজেলায় করোনা সংক্রমণের মধ্যে অনেক বাড়িতে ভাইরাল ফিভার বা ভাইরাস জ্বর দেখা দিয়েছে। তবে কতজন জ্বরে আক্রান্ত হয়েছেন তার সঠিক পরিসংখ্যান নেই জেলা সিভিল সার্জন অফিসে। যদিও জেলার জেনারেল হাসপাতালে ও উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সগুলোয় প্রতিদিন জ্বরে আক্রান্ত রোগী সেবা নিতে আসছেন বলে হাসপাতাল সূত্র জানায়। আবার কেউ কেউ এ সিজনাল ফিভারকে করোনা হিসেবেও সন্দেহ করছেন বলে জানা গেছে।

জ্বরের লক্ষণ হলো- মাথা ব্যথা, শরীর ও হাত-পা ব্যথা। জ্বর প্রায় ১০২ থেকে ১০৩ ডিগ্রি পর্যন্ত ওঠানামা করছে। খাবারে অরুচি ও ক্ষুধা মন্দাসহ শরীর ম্যাজম্যাজ করা দেখা দেয়। অনেক পরিবার ঘরে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হচ্ছেন। তবে এ জ্বর তিন থেকে পাঁচদিনের মধ্যেই ভালো হচ্ছে বলে জানা গেছে। 

শহরের পুরাতন রেজিস্ট্রি অফিস পাড়ার বাসিন্দা ওমর আলী ও তার স্ত্রী লায়লা পারভীন জানান, গত এক সপ্তাহ ধরে আমরা বাড়িতে স্বামী-স্ত্রী জ্বরে ভুগছি। ডাক্তারকে দেখিয়ে অ্যান্টিবায়োটিকসহ জ্বরের ওষুধ খেয়ে এখন কিছুটা সুস্থ। 

কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতাল সূত্র জানায়, জ্বরে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা হাসপাতালে ক্রমেই বাড়ছে। প্রতিদিন এ রোগে চিকিৎসা সেবা দিচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। হাসপাতালেও ভর্তি হচ্ছেন অনেক রোগী। তবে করোনা মনে হলেও সাধারণ ভাইরাস জ্বরে এসব রোগী হাসপাতালের চিকিৎসা নিয়ে দ্রুতই সুস্থ হয়ে বাড়ি যাচ্ছেন। 

গরম বেশি হওয়ায় এ জ্বরে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানান। এ জ্বরটিও ছোঁয়াচে হওয়ায় এক বাড়িতে আক্রান্ত হলে অন্য সদস্যদেরও জ্বর আসতে পারে। 

জেলা সিভিল সার্জন ডা. হাবিবুর রহমান জানান, জ্বর-সর্দি-কাশি এটি আগেও ছিল, এখনও আছে। সব জ্বর যে করোনা হবে, তা নয়। এখন সিজনাল জ্বর অনেক পরিবারে হচ্ছে। করোনা সংক্রমণের হার এ জেলায় বেশি হলেও এখন ভাইরাস জ্বরের প্রকোপটা বাড়ছে।তবে চিন্তিত হওয়ার কিছু নেই। 

উল্লেখ্য, ইতোমধ্যেই এ জেলায় করোনা সন্দেহে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ৫ হাজার ৪৮ জনের। এর মধ্যে করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়েছে ৮২৯ জন রোগী। 

বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ
 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর