বাংলাদেশে নিখোঁজের ঘটনা নিয়ে মুখ খুলেছে মানবাধিকার সংস্থা্ হিউম্যান রাইটস ওয়াচ। গত বছর ৫ই জানুয়ারি অনুষ্ঠিত নির্বাচনের আগে ও পরে কয়েকশ’ মানুষ নিহত কিংবা নিখোঁজ হয়েছে। দেশটিতে চলমান অবরোধের মাঝে বিএনপি নেতা সালাহউদ্দীন আহমেদের ‘নিখোঁজ’ হওয়ার প্রেক্ষিতে অতীতে সব ধরণের নিখোঁজের ঘটনা তদন্তের তাগিদ দিয়েছে সংস্থাটি। হিউম্যান রাইটস ওয়াচের এশিয়া বিষয়ক পরিচালক ব্র্যাড অ্যাডামস বলেন, সালাহউদ্দীন আহমেদ নিখোঁজ হওয়ার ঘটনাটি স্বাধীনভাবে তদন্ত করা প্রয়োজন। যা অবিলম্বেই করা প্রয়োজন।
হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বলছে, 'একজন প্রত্যক্ষদর্শীর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ১০ই মার্চ মিস্টার আহমেদকে সর্বশেষ দেখা গিয়েছিল। এ সময় রাজধানী ঢাকার উত্তরার একটি বাসা থেকে নিজেদেরকে পুলিশের বিশেষ বিভাগের সদস্য বা ডিবি পরিচয় দিয়ে সালাহউদ্দীন আহমেদকে উঠিয়ে নিয়ে যায় বেশকিছু লোক। তবে পরিবার এবং তার দলের পক্ষ থেকে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি ইঙ্গিত করা হলেও তারা বিষয়টি অস্বীকার করেছে।
বিরোধী দলের সদস্য নিখোঁজের ঘটনা তদন্তে বাংলাদেশের সরকারের ব্যর্থ হওয়ার ইতিহাস রয়েছে। ২০১২ সালে নিখোঁজ হওয়া বিএনপি নেতা ইলিয়াস আলীর ভাগ্যে কী ঘটেছিল, সেটি জানাতেও ব্যর্থ হয়েছে কর্তৃপক্ষ। হিউম্যান রাইটস ওয়াচ এবং অন্য মানবাধিকার সংগঠনগুলোও বাংলাদেশে ২০০৭ সাল থেকে এই পর্যন্ত বিভিন্ন সময় ‘নিখোঁজ’ হওয়ার ঘটনাগুলো নথিভুক্ত করেছে। সংস্থাটি আরও বলেছে, গত বছরের মে মাসে গণমাধ্যমের ব্যাপক সমালোচনার মুখে নারায়ণগঞ্জে সাত খুনের সঙ্গে র্যাবের সম্পৃক্ততার বিষয়টি খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেওয়া হয়। শুরুতে এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করলেও পরে এ ঘটনার সঙ্গে র্যাবের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়।
হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বলেছে, বাংলাদেশে এ বছরের শুরু থেকেই চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে বিভিন্ন সহিংসতায় ১৫০ জনেরও মানুষের প্রাণহানি এবং কয়েকশ’ মানুষ আহত হয়েছে। এ পরিপ্রেক্ষিতে সারাদেশে ধরপাকড় চালিয়ে বিরোধী দলের হাজার হাজার সদস্যকে আটক করেছে সরকার। সংস্থাটি আরও বলেছে, নির্বাচনের আগে ও পরে বেশ কয়েকশ’ মানুষ দেশটিতে নিহত বা নিখোঁজ হয়েছে। বিবিসি।
বিডি-প্রতিদিন/ ১৮ মার্চ, ২০১৫/ রোকেয়া।