ভারতের বর্ধমান রাজ্যের খাগড়াগড় বিস্ফোরণের ঘটনার ১৭৭ দিনের মাথায় সোমবার কলকাতার বিশেষ আদালতে চার্জশিট পেশ করল দেশটির কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা এনআইএ। ১৬৪ পাতার ওই চার্জশিটে চার বাংলাদেশিসহ ২১ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
চার্জশিটে এনআইএ দাবি করেছে, বাংলাদেশের জঙ্গি গোষ্ঠী জামাত-উল-মুজাহিদিন (জেএমবি) ভারতের তিন রাজ্য— পশ্চিমবঙ্গ, অসম ও ঝাড়খণ্ডের বিভিন্ন জায়গায় জঙ্গি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র গড়ে তুলেছিল। তাদের মূল উদ্দেশ্য ছিল, ভারতে জঙ্গি প্রশিক্ষণ দিয়ে বাংলাদেশে নাশকতা ঘটানো।
ওই চার্জশিটে আসামিদের বিরুদ্ধে জঙ্গি কার্যকলাপ, প্রশিক্ষণ, নিয়োগ, নাশকতা এবং ষড়যন্ত্রসহ একাধিক ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত এই বিস্ফোরণের ঘটনায় ১৩ জন গ্রেফতার হয়েছে। চার্জশিটে যে ক’জনের নাম রয়েছে তাদের মধ্যে ৮ জন পলাতক। এদের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা করা হয়েছে বলে এ দিন তদন্তকারী সংস্থাটি জানিয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের ২ অক্টোবর বর্ধমানের খাগড়গড়ের একটি বাড়িতে ইমপ্রোভাইসড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস (আইইডি) বিস্ফোরণ হয়। মৃত্যু হয় শাকিল গাজি এবং করিম শেখ নামে দুই ব্যক্তির। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নির্দেশে ওই বছরের ৯ অক্টোবর তদন্তের ভার নেয় এনআইএ। তদন্তে নেমে উঠে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা জঙ্গি নেটওয়ার্কের কথা। বর্ধমানের পাশাপাশি নদিয়া, বীরভূম ও মুর্শিদাবাদের নামও প্রকাশ্যে আসে। শুধু এ রাজ্যেই নয়, অসম ও ঝাড়খণ্ডেও এর শিকড় খুঁজে পান তদন্তকারীরা।
বিডি-প্রতিদিন/৩০ মার্চ, ২০১৫/মাহবুব