ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের হয়ে এবারের নির্বাচনে মেয়র পদে লড়ছেন মোহাম্মদ সাইদ খোকন। পেশায় ব্যবসায়ী। বছরে তাঁর আয় ৪১ লাখ ৭৪ হাজার ৭৮০ টাকা হলেও দেনা রয়েছে ১৯ কোটি ২৭ লাখ ৭৭ হাজার টাকা। আওয়ামী লীগ সমর্থিত এই মেয়র প্রার্থীর স্থাবর অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ ৪৭ কোটি ৯৩ লাখ ৬৪ হাজার ২১৬ টাকা। এর মধ্যে তালিকাভুক্ত কোম্পানির শেয়ার রয়েছে ১৭ কোটি ৭১ লাখ ৯০ হাজার ৬৭৫ টাকার। সোমবার সন্ধ্যায় নির্বাচনের কমিশনের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তার নির্বাচনী হলফনামা সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
পুরান ঢাকার নাজিরাবাজারের বাসিন্দা অবিভক্ত সিটির সাবেক মেয়র মোহাম্মদ হানিফের ছেলে মোহাম্মদ সাইদ খোকনের রয়েছে একাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোর তালিকায় রয়েছে ইসলামী ইন্সুরেন্স বাংলাদেশ লিমিটেড, সাইদ খোকন প্রপার্টিজ লিমিটেড, ম্যাচ প্রস্তুতকারক কোম্পানি ইন্দো জে এস এ ম্যাচ ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, আবাসিক হোটেল থ্রি এ হোটেল অ্যান্ড প্লাজা লিমিটেড, আমদানী রপ্তানী প্রতিষ্ঠান মেসার্স এস অ্যান্ড এস করপোরেশন, ট্রেডিং ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ঢাকা ট্রেডার্স।
নির্বাচনী হলফনামা সূত্রে জানা গেছে, সাঈদ খোকনের বছরে আয় ৪১ লাখ ৭৪ হাজার ৭৮০ টাকা। এর মধ্যে বাড়ি, এপার্টমেন্ট, দোকান বা অন্যান্য ভাড়া হতে আয় ৩২ লাখ ৩৪ হাজার ১৫০ টাকা। ব্যবসা থেকে আয় ৮ লাখ ৩২ হাজার ৬৩০ টাকা। শেয়ার, সঞ্চয়পত্র বা ব্যাংক আমানত ও ইসলামী ইন্সুরেন্স বাংলাদেশ লিমিটেডের ডাইরেক্টরস ফি বাবদ আয় ১ লাখ ৮ হাজার টাকা। তবে নিজের কোনো ধরনের স্বর্ণ ও অন্যন্য মূল্যবান ধাতু ও পাথর নির্মিত অলংকারাদি নেই।
তিনি ইলেক্ট্রনিক্স সামগ্রীর মধ্যে এসি, টিভি, ফ্রিজ, ওভেন, কম্পিউটার ইত্যাদি উপহার হিসেবে পেয়েছেন। এ ছাড়া উপহার সামগ্রীর তালিকায় আসবাবপত্রের মধ্যে খাট পালঙ্ক, ড্রেসিং ডাইনিং টেবিল আলমারিও রয়েছে। তবে ব্যাংকের দায় দেনার মধ্যে রয়েছে ১৯ কোটি ২৭ লাখ ৭৭ হাজার টাকা। এদিকে সাঈদ খোকনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় দায়ের হওয়া ফৌজদারি ৫টি মামলা থাকলেও এর মধ্যে ৪টি থেকে ইতোমধ্যেই অব্যাহতি পেয়েছেন। অপর মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে রিলিজ দেওয়া হয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/ ৩১ মার্চ, ২০১৫/ রোকেয়া।