বিচার বিভাগ নিয়ে ‘কুৎসা রটনামূলক’ কলাম প্রকাশের মাধ্যমে আদালত অবমাননার দায়ে দৈনিক জনকণ্ঠের সম্পাদক-প্রকাশক ও মুদ্রাকর মোহাম্মদ আতিকউল্লাহ খান মাসুদ (এম এ খান মাসুদ) এবং নির্বাহী সম্পাদক স্বদেশ রায়কে দশ হাজার টাকা করে জরিমানা করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।
এছাড়া আপিল বিভাগের কার্যক্রম চলা পর্যন্ত তাদেরকে আদালতের এজলাসকক্ষে থাকার সাজা প্রদান করা হয়েছে।
জরিমানা অনাদায়ে সাতদিনের কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে জনকণ্ঠের সম্পাদক-নির্বাহী সম্পাদককে। দশ হাজার টাকা করে মোট বিশ হাজার টাকা কোনো দাতব্য সংস্থাকে দিতে বলেছেন সর্বোচ্চ আদালত।
আজ বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে ছয় সদস্যের বৃহত্তর (লার্জার) আপিল বেঞ্চ এ রায় দেন।
আদালতে হাজির ছিলেন আতিকউল্লাহ খান মাসুদ (এম এ খান মাসুদ) ও স্বদেশ রায়।
গত ১৬ জুলাই ‘সাকার পরিবারের তৎপরতা।। পালাবার পথ কমে গেছে’ শিরোনামে একটি কলাম প্রকাশ করে দৈনিক জনকণ্ঠ। এর লেখক নির্বাহী সম্পাদক স্বদেশ রায়।
জনকণ্ঠের ওই কলামের একটি স্থানে বলা হয়েছে, ‘পিতা মুজিব! তোমার কন্যাকে এখানেও ক্রশে পিঠ ঠেকিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে। তাই যদি না হয়, তাহলে কিভাবে যারা বিচার করছেন সেই বিচারকদের একজনের সঙ্গে গিয়ে দেখা করে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর পরিবারের লোকেরা? তারা কোন পথে বিচারকের কাছে ঢোকে, আইএসআই ও উলফা পথে না অন্য পথে? ভিকটিমের পরিবারের লোকদেরকে কি কখনও কোন বিচারপতি সাক্ষাৎ দেয়। বিচারকের এথিকসে পড়ে! কেন শেখ হাসিনার সরকারকে কোন কোন বিচারপতির এ মুহূর্তের বিদেশ সফর ঠেকাতে ব্যস্ত হতে হয়। যে সফরের উদ্যোক্তা জামায়াত-বিএনপির অর্গানাইজেশান। কেন বিতর্কিত ব্যবসায়ী আগে গিয়ে সেখানে অবস্থান নেয়। কী ঘটতে যাচ্ছে সেখানে। ক্যামেরনই পরোক্ষভাবে বলছেন সকল সন্ত্রাসীর একটি অভয়ারণ্য হয়েছে লন্ডন’।