ঢাকায় সৌদি আরবের দূতাবাস কর্মকর্তা খালাফ আল আলী হত্যা মামলায় সাইফুল ইসলাম মামুনের মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ। প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চ মামুনের রিভিউ আবেদন খারিজ করে দিয়ে আজ রবিবার সকাল ৯টা ২৫ মিনিটে এ আদেশ দেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী কাজী আকতার হামিদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
গত বছরের ১ নভেম্বর মামুনের মৃত্যুদণ্ডাদেশসহ হাইকোর্টের পুরো রায় বহাল রাখেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। ওই রায়ের ফলে অন্য তিন আসামি আল আমিন, আকবর আলী লালু ওরফে রনি ও রফিকুল ইসলাম খোকনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডও বহাল রয়েছে।
৫ আসামির মধ্যে পলাতক সেলিম চৌধুরী ওরফে সেলিম আহমেদকে হাইকোর্টের মতোই সর্বোচ্চ আদালত থেকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়।
পরে মামুনের মৃত্যুদণ্ডাদেশ পুনর্বিবেচনা চেয়ে আবেদন করা হয়। যার ওপর বৃহস্পতিবার শুনানি শেষে আদেশের জন্য ৭ অক্টোবর দিন ঠিক করেছিলেন আদালত।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সাইফুল বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার মধ্য খোন্তাকাটা গ্রামের মৃত আব্দুল মোতালেব হাওলাদারের ছেলে। যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত আল আমিন পটুয়াখালীর হাজিখালী গ্রামের ফারুক ঘরামীর ছেলে, লালু শরিয়তপুরের ডামুড্যা উপজেলার গোয়ালকোয়া গ্রামের আব্দুল জলিলের ছেলে এবং খোকন ময়মনসিংহ নগরের নাটকঘর বাইলেনের আব্দুস সালামের ছেলে। খালাসপ্রাপ্ত সেলিম ভোলার শশীভূষণ থানার উত্তর চরমঙ্গল গ্রামের সিদ্দিক আহমেদ চৌধুরীর ছেলে।
খালাফকে হত্যার অভিযোগে ২০১২ সালের ৩১ অক্টোবর আসামি সাইফুল ইসলাম মামুন, আল আমিন, রফিকুল ইসলাম খোকন, আকবর আলী লালু ও সেলিম চৌধুরী ওরফে সেলিম আহমেদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয় গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। ২০১২ সালের ৩০ ডিসেম্বর বিচার শেষে পাঁচ আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দেন ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৪।
এর পর মৃত্যুদণ্ড অনুমোদনের জন্য ডেথ রেফারেন্স ও আসামিদের আপিল আবেদনের শুনানি শেষে ২০১৩ সালের ২৮ নভেম্বর রায় দেন হাইকোর্ট। হাইকোর্ট সাইফুল ইসলাম মামুনের মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখে আল আমিন, রফিকুল ইসলাম খোকন ও আকবর আলী লালুর সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। পলাতক আসামি সেলিম চৌধুরীকে খালাস দেন।
২০১২ সালের ৫ মার্চ মধ্যরাতে গুলশানের কূটনৈতিক এলাকার ১২০ নম্বর রোডের ১৯/বি নম্বর বাসার কাছে গুলিবিদ্ধ হন খালাফ। পরদিন ভোরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় তার। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে গুলশান থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
বিডি প্রতিদিন/এনায়েত করিম