কিশোরগঞ্জে ডাকাতির অভিযোগে পাঁচজনকে গণপিটুনি দিয়েছে জনতা। তাদেরকে কিশোরগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। মঙ্গলবার রাত দুইটার দিকে ঘটনাটি ঘটে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার সাদুল্লারচর এলাকার আবুল হাসেম মাস্টারের বাড়িতে।
গণপিটুনির শিকার পাঁচজন হলেন কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার পাটধা কাঁঠালিয়া গ্রামের হাবিবুর রহমানের ছেলে সেলিম মিয়া (৪০), করিমগঞ্জ উপজেলার চরকরণশি গ্রামের আব্দুল খালেকের ছেলে আব্দুর রহমান (৩০), নরসিংদী জেলার মাধবদী উপজেলার বালাপুর গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে মো. আসলাম (২৪), একই উপজেলার পাইকারচর সাগরদী গ্রামের বাছিরের ছেলে শফিকুল ইসলাম সবুজ (৪০) ও নরসিংদীর শিবপুর উপজেলার দক্ষিণ সাদারচর গ্রামের দীন ইসলামের ছেলে আল আমিন (২৪)।
ভূক্তভোগী পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার দুপুরে সবুজ নামে এক ব্যক্তি সাদুল্লারচর গ্রামের আবুল হাসেম মাস্টারের দোতলা বাসার নিচ তলা ভাড়া নিতে আসে। বাসাটি দেখে চলে যান তিনি। রাত ৯টার দিকে সবুজ ফোন দিয়ে বাসাটি ভাড়া নেওয়ার সিদ্ধান্তের কথা জানায়। রাত ২টার দিকে নিচতলার কেচি গেটের তালা ও দোতলার দরজার লক ভেঙে অস্ত্রসহ ঘরে ঢুকে ৮-১০ জনের একটি ডাকাতদল। তারা অস্ত্র ঠেকিয়ে প্রথমেই আবুল হাসেম মাস্টারের স্ত্রীর গলা থেকে স্বর্ণের চেইন নিয়ে যায়। পরে অস্ত্রের মুখে সবাইকে জিম্মি করে তিন ভরি স্বর্ণালঙ্কার, নগদ টাকা, একটি অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোন লুট করে। ডাকাতি করে বাসা থেকে নেমে যাবার পর আবুল হাসেম মাস্টারের ছেলে মিজানুর রহমান নিচে এসে ডাকাত ডাকাত বলে চিৎকার দেন। চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে ডাকাতদেরকে ধাওয়া করে পাঁচজনকে ধরে গণধোলাই দেয়। অন্যরা পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।
কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক মফিজুর রহমান বলেন, চিকিৎসা শেষে একজনকে রিলিজ দিয়ে দিয়েছি। অপর একজন অবজারভেশনে আছে। বাকি তিনজনকে শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে।
কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, এ ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মামলা প্রক্রিয়াধীন।
বিডি প্রতিদিন/এএ