নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলার বাঁশবাড়িয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে জাল সনদে চাকরি নিয়ে এমপিওভুক্ত হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এবিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় বরাবর ওই স্কুলের সহকারী শিক্ষক আব্দুল আওয়ালের করা এক অভিযোগ তদন্তে তার জাল সনদে চাকরি নেয়ার বিষয়টি ধরা পড়ে।
সম্প্রতি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ (মাউশি) এর ওয়েবসাইটে প্রকাশিত একটি কার্য বিবরণী সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। এই ঘটনায় প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলাম এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
প্রকাশিত কার্য বিবরণীর চার নম্বর ক্রমিকে বলা হয়েছে, প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলাম (ইনডেক্স নম্বর ৫৪২৮৫৭) এর বিরুদ্ধে করা অভিযোগটি মাউশি‘র সহকারী পরিচালক (সেসিপ), মাধ্যমিক উইং মো. সবুজ আলম তদন্ত করেন। তদন্তে তিনি ভুয়া বিএড সনদে চাকরি নেয়ার তথ্য প্রমাণ পান। ওই কর্মকর্তার প্রতিবেদনের আলোকে জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা-২০১৮ অনুযায়ী বেসরকারি (স্কুল ও কলেজ) এর শিক্ষক-কর্মচারীর বেতন-ভাতার সরকারি অংশ স্থগিত, কর্তণ, বাতিল ও ছাড়করণের নিমিত্তে গত ১৫ অক্টোবর পুনর্বিবেচনা কমিটির বৈঠকে শিক্ষক শহিদুল ইসলামের ইনডেক্স বাতিল এবং বেতন-ভাতা হিসেবে গৃহিত অর্থ সরকারি কোষাগারে জমা নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। গত ৫ নভেম্বর মাউশি’র ওয়েবসাইটে তা প্রকাশ করা হয়। এর আগেও শিক্ষক আওয়াল মাউশি‘র মহাপরিচালকসহ সংশ্লিষ্ট একাধিক দফতরে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেন।
অভিযোগকারী শিক্ষক আব্দুল আওয়াল জানান, ২০১১ সালের জুলাই মাসে বাঁশবাড়িয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক পদে একই উপজেলার রহিমানপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের তৎকালীন শরীরচর্চা শিক্ষক শহিদুল ইসলাম দারুল ইহসান ইউনিভার্সিটির জাল বিএড সনদ দিয়ে প্রধান শিক্ষকের চাকরি নেন। ওই সময় অভিজ্ঞতার সনদে শরীরচর্চার শিক্ষক বিষয়টিও তিনি গোপন রাখেন। পরে যাচাইয়ে দারুল ইহসান ইউনিভার্সিটি কর্তৃপক্ষ এক পত্রের মাধ্যমে সনদটি তাদের অনুমোদিত নয় বলে জানায়।
এব্যাপারে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলাম বলেন, আমার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ আনা হয়েছে তা মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন