গর্ভপাত বন্ধের বিষয়ে বিভক্ত হয়ে পড়েছে ল্যাটিন আমেরিকার দেশ আর্জেন্টিনা। এরমধ্যে দেশটির নতুন প্রেসিডেন্ট এ বিতর্ক নতুন করে উসকে দিয়েছেন। প্রেসিডেন্ট আলবের্তো ফার্নান্দেজ জানিয়েছেন, তার সরকার আগামী ১০ ডিসেম্বর শপথ গ্রহণের পর যত দ্রুত সম্ভব গর্ভপাতকে দেশে বৈধ ঘোষণা করবে।
ফার্নান্দেজের জয়ের পরেই গর্ভপাত-প্রসঙ্গ সামনের সারিতে উঠে এসেছে। কারণ বরাবরই গর্ভপাতকে বৈধ করার পক্ষে সরব ছিলেন আলবের্তো ফার্নান্দেজ। সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে ৬০ বছর বয়সী বলেছেন, গর্ভপাত থেকে অপরাধের তকমা সরাতে দীর্ঘদিন ধরে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছি আমি। দায়িত্ব পেলেই কংগ্রেসের কাছে বিল পেশ করব।
গত বছরও গর্ভপাতকে অপরাধের তালিকা থেকে সরাতে উদ্যোগী হয়েছিল দেশের একাংশ। কিন্তু শেষ মুহূর্তে জিতে যায় কট্টরপন্থীরা।
গত বছর, ১৪ সপ্তাহ পর্যন্ত কোনও অন্তঃসত্ত্বার গর্ভপাতকে বৈধ ঘোষণার প্রস্তাব প্রায় মেনে নিয়েছিল ‘চেম্বার অব ডেপুটিস’। কিন্তু ক্যাথলিক গির্জার ক্ষমতা ও চাপে সিনেটে খারিজ হয় প্রস্তাবটি। আর্চবিশপ ভিক্টর ম্যানুয়েল ফার্নান্দেজ খোলা চিঠিতে লিখেছেন, আর্জেন্টিনার মানুষের কাছে এত বিতর্কিত একটা বিষয় নিয়ে হুকুম জারির খুব প্রয়োজন আছে কি!
গির্জার অন্য একটি সংগঠনের প্রধান রুবেন প্রোয়েত্তির কথায়, ফার্নান্দেজের পরিকল্পনা খুবই দুর্ভাগ্যজনক।
গত বছর গর্ভপাতকে বৈধ করার দাবিতে মিছিল করে বহু নারীবাদী সংগঠন। তাদের টক্কর দিতে রাস্তায় লোক নামিয়েছিলেন প্রোয়েত্তি। ইতিমধ্যেই প্রকাশ্যে হুমকি দিয়েছেন, বেশি ক্ষমতা দেখালে ভুগতে হবে ফার্নান্দেজকে।
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা