হরতাল-অবরোধের নামে যারা বোমা মেরে মানুষ হত্যা করবে, তাদের সঙ্গে কখনোই সংলাপ হতে পারে না বলে মন্তব্য করেছেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক এ কে আজাদ চৌধুরী।
শনিবার রাজধানীর হোটেল লেক শো’রে রিজিওনাল এন্টি টেরোরিস্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউট (আরএটিআরআই) আয়োজিত ‘সহিংসতা, জঙ্গিবাদ, সংলাপ ও বাস্তবতা’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক জিনাত হুদার সঞ্চালনায় আলোচনায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন আরএটিআরআই’র নির্বাহী পরিচালক মেজর জেনারেল (অব.) একে মোহম্মদ আলী শিকদার।
অধ্যাপক এ কে আজাদ চৌধুরী বলেন, যারা গণতন্ত্র রক্ষার কথা বলছেন, তারাই সহিংসতায় মদদ দিচ্ছেন। আপনাকে একটি সভা করতে দেওয়া হলো না, আর আপনি এজন্য সহিংস পথ বেছে নেবেন, তা হতে পারে না।
তিনি বলেন, তারা দেশকে আফগানিস্তান বানাতে পারবেন, কিন্তু দেশে শান্তি আনতে পারবেন না। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফ তালেবানদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে চেয়েছিলেন। এজন্য স্কুলে দেড় শ’ শিশুকে জীবন দিতে হয়েছে। কারণ শিক্ষাকে ধ্বংস করে দেওয়া গেলে সন্ত্রাস ছড়িয়ে দেওয়া যায়। জাতিকে অন্ধকারে ঠেলে দিয়ে জঙ্গিবাদ কায়েম করাই তাদের লক্ষ্য। এখানে সংঘর্ষ বিষয়টি আদর্শিক। আদর্শিক দ্বন্দ্ব ঠিক না হলে সংলাপ করে লাভ হবে না।
আলোচনায় সভায় আরও বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. হারুন অর রশিদ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মিজানুর রহমান, ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির উপাচার্য ড. মুহাম্মদ সামাদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থ অ্যান্ড ইনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স ডিপার্টমেন্টের ডিন অধ্যাপক মাকসুদ কামাল, ক্রিমিনোলজি বিভাগের ডিন ড. জিয়া রহমান, শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. আহিদুজ্জামান চাঁন, সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যপক ড. জিনাত হুদা, ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড. মেসবাহ কামাল, জাপান স্টাডি সেন্টারের পরিচালক অধ্যাপক ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ প্রমুখ।
বিডি-প্রতিদিন/০৬ মার্চ, ২০১৫/মাহবুব