চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার আমান বাজারের ব্যবসায়ী আরিফ হোসাইন প্রতিদিন দুধ কিনেন ৮০ লিটার। কিন্তু তিনি বিক্রি করেন ২৪০ লিটার। প্রকৃত দুধের সঙ্গে পাউডার ব্লেন্ড করে দুই গুণ পানি মিশিয়ে গরুর দুধ বলে বিক্রি করতেন।
বৃহস্পতিবার ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে দুধে এমন অনিয়মের চিত্র ধরা পরে। হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুহাম্মদ রুহুল আমিন এ অভিযান পরিচালনা করেন।
জানা যায়, আমান বাজার এলাকার মোতালেব ভবনে ফ্যামিলি বাসায় দুধের ভেজাল কারখানা গড়ে তুলেছিলেন আরিফ। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের ইনবক্সে এমন খবর পেয়ে সকালে অভিযান পরিচালনা করেন ইউএনও। ভ্রাম্যমাণ আদালত আরিফের ঘর থেকে ২৫০ লিটার দুধ, দুধ পাউডার জব্দ করে এতিমখানায় বিতরণ ও আরিফকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করে।
মুহাম্মদ রুহুল আমিন বলেন, বরিশালের চন্দ্রমোহন এলাকার আরিফ হোসাইন দোতলায় ঘর ভাড়া নিয়ে ভেজাল দুধের কারখানা গড়ে তুলেছিলেন। ৮০ লিটার দুধের সঙ্গে পাউডার ব্লেন্ড করে পানি মিশিয়ে ২৪০ লিটার করে গরুর দুধ হিসেবে মিষ্টির দোকান এবং খুচরা গ্রাহকদের কাছে বিক্রি করতেন। আরিফ নিজেই স্বীকার করেছেন, ক্রেতারা যাতে ভেজাল দুধের মধ্যে খাঁটি দুধের সুগন্ধ পান সে জন্যই ৮০ লিটার দুধ কিনে মিশাতেন। অভিযানে ২৫০ লিটার দুধ ও দুধ পাউডার জব্দ করে এতিমখানায় বিতরণ এবং আরিফকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন