নিরাপত্তাকে সুদৃঢ় করতে আরও একধাপ এগিয়ে গেল ভারতীয় সেনাবাহিনী। ভারত-পাকিস্তান নিয়ন্ত্রণ রেখা অঞ্চলে স্পাইক অ্যান্টি ট্যাঙ্ক মিসাইল ব্যবহার শুরু হবে বলেই জানা গেছে।
ইসরায়েলের সেনাবাহিনী এই স্পাইক মিসাইল ব্যবহার করে। এগুলো ভূমি, আকাশ ও সমুদ্র থেকে উৎক্ষেপণ করা সম্ভব। ৩০ কিলোমিটার দূরে গিয়ে আঘাত করতে পারে এই মিসাইল। এছাড়া ভারত ও ইসরায়েল যৌথ উদ্যোগে একটি লং রেঞ্জ সার্ফেস টু এয়ার মিসাইল তৈরি করছে, যা দুই দেশের নৌ-বাহিনী ব্যবহার করবে।
পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা ভারত ও ইসরায়েলের এই চুক্তিতে রীতিমত চিন্তিত ছিল। তারপরই এই সিদ্ধান্ত পাকিস্তানকে আরও বিপাকে ফেলবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
বালাকোটে আকাশপথে সারজিক্যাল স্ট্রাইক চালানোর পরই ভারতীয় সেনাবাহিনী জরুরি ব্যবস্থায় এই স্পাইক মিসাইল নিজেদের ভাণ্ডারে মজুত রেখেছে।
ডিফেন্স সূত্রের খবর, স্পাইক মিসাইলগুলো নিয়ন্ত্রণ রেখা অঞ্চলেও ব্যবহার করা হবে যেহেতু এগুলো লুকিয়ে থাকা বাঙ্কারগুলোকেও খুঁজে বের করতে সক্ষম।
প্রতি বছর প্রায় ১০০ কোটি ডলারের অস্ত্র আসে ভারতে। গত বছরের এপ্রিলে দুই দেশ ২০০ কোটি ডলারের চুক্তি স্বাক্ষর করে। যার মধ্যে রয়েছে সার্ফেস-টু-এয়ার মিসাইল, লঞ্চার ও কমিউনিকেশন টেকনোলজি। ভারতের সঙ্গে ইসরায়েলের মিসাইল কেনার ৫৫০ মিলিয়ন ডলারের চুক্তি হয়েছে বলেই জানা গেছে।
ইসরায়েল থেকে জরুরি প্রয়োজনে ২৪০টি স্পাইক মিসাইল এনেছে ভারতীয় সেনা। স্পাইক মিসাইল মূলত অ্যান্টি ট্যাঙ্ক অপারেশনে ব্যবহার হলেও এই শক্তিশালী মিসাইল জঙ্গিদের লুকিয়ে থাকার জন্য তৈরি বাঙ্কার ধ্বংস করতে পুরোপুরি সক্ষম।
এক মাস আগেই নিয়ন্ত্রণ রেখার কাছে জঙ্গি ঘাঁটি এবং লঞ্চপ্যাড ধ্বংস করেছে ভারতীয় সেনা যেখানে ছয়জন জঙ্গি মারা যায়। পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরে এই অপারেশন চলবে বলেও মনে করা হচ্ছে। বালাকোটে জইশ জঙ্গিদের ঘাঁটি ভাঙার পরই স্পাইক মিসাইল নিয়ে সিদ্ধান্ত নেয় ভারত।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত