খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, নিত্যপণ্যের বাজার স্থিতিশীল রাখতে যতদিন প্রয়োজন, ততদিন খোলাবাজারে (ওএমএস) চাল ও আটা বিক্রির কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়া হবে। পাশাপাশি চলতি আমন মৌসুমে খরা কাটিয়ে কৃষকের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে সরকারিভাবে আরও চাল আমদানি করা হবে।
মঙ্গলবার (৬ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে বোরো সংগ্রহ অভিযান ও চলমান খাদ্যবান্ধব এবং ওএমএস কর্মসূচিসহ সামগ্রিক খাদ্য পরিস্থিতি নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
নিত্যপণ্যের চড়া বাজারের প্রভাবে মানুষের কষ্ট সরকার জানে বলেও মন্তব্য করেন সাধন চন্দ্র মজুমদার। তিনি জানান, খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি বছরে ৫ মাস (মার্চ থেকে এপ্রিল এবং সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বর) চলে। যদি বাড়াতে হয় সেটা মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত। ওএমএস কর্মসূচি বাজার স্থিতিশীল রাখার জন্য যতদিন প্রয়োজন ততদিন রাখব।
গত পহেলা সেপ্টেম্বরের আগের তুলনায় দ্বিগুণ যোগান নিয়ে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি ও ওএমএসের চাল-আটা বিক্রি শুরু হয়েছে। সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, সরকার কাজ করছে। আমাদের সর্বত্র মনিটরিং আছে। জেলা প্রশাসন, খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তা, গোয়েন্দা সংস্থার লোকজনও মনিটরিং করছেন।
আমদানি শুল্ক কমানোর বিষয়ে এক প্রশ্নে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা বেসরকারিভাবে চাল আমদানির জন্য নির্দেশনা দিয়েছিলাম। সেখানে ২৫ শতাংশ শুল্ক থাকায় ৪৭ হাজার টনের মতো চাল এসেছে। শুল্ক আরও ১০ শতাংশ কমিয়ে দিয়েছি। আমরা আশা করি কিছু চাল আরও আসবে। মোটা চাল নয়, নন-বাসমতি মধ্যম মানের সরু চাল আসবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল