আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, শেখ হাসিনার অত্যন্ত বিশ্বস্ত সহকর্মী ছিলেন সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী। তিনি দেশের রাজনীতির একটা বড় অধ্যায় জুড়ে রয়েছেন। তার শূন্যতা পূরণ হবার নয়।
সোমবার বিকাল ২টা ৫০ মিনিটে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর মরদেহে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি একথা বলেন।
তিনি বলেন, স্বাধিকার, স্বাধীনতার সংগ্রাম, মুক্তিযুদ্ধের রণাঙ্গনে তিনি ছিলেন সৈনিক। স্বাধীনতা পরবর্তী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দেশ পুনর্গঠন, রক্তাক্ত ১৫ আগস্ট, ৩ নভেম্বর প্রতিটি সংকটে তিনি দলের পাশে ছিলেন।
এসময় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রহমান, জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ এমপি, ড. হাছান মাহমুদ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে বেলা ১১টা ১৫ মিনিটে তার নিজ নির্বাচনী এলাকা ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার মহেন্দ্র নারায়ণ একাডেমি মাঠে জানাজা সম্পন্ন হয়।
মহান মুক্তিযুদ্ধের সংগঠকের সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী কর্মময় জীবনের অবসান হয় রবিবার (১১ সেপ্টেম্বর) রাত ১১টা ৪০ মিনিটে। রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন। কিছুদিন আগে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) ভর্তি করা হয় তাকে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রবিবার রাত ১১টা ১৪ মিনিটে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন সাজেদা চৌধুরী। বার্ধক্যজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে স্মৃতিশক্তিও হারিয়ে ফেলেছিলেন তিনি। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৭ বছর।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত