স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, ‘জনপ্রতিনিধিরা ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করলে এডিস মশার প্রজনন ক্ষেত্র ধ্বংস করা কোনো কঠিন কাজ নয়।’
তিনি বলেন, ‘করোনাভাইরাস মহামারির সময় ওই ভাইরাস প্রতিরোধে যেভাবে সকলে গুরুত্ব দিয়েছিল এবং ঐক্যবদ্ধভাবে সংক্রমণের বিরুদ্ধে কাজ করেছিল তাতে মহামারি মোকাবিলায় আমরা সফল হয়েছিলাম। জলবায়ু পরিবর্তন ও বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি পাওয়ায় ডেঙ্গুর মতো রোগের সংক্রমণ প্রতিরোধেও সেভাবে কাজ করতে হবে।’
আজ বৃহস্পতিবার ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের নগর ভবনের সম্মেলন কক্ষে ডেঙ্গু প্রতিরোধে নেওয়া কার্যক্রম পর্যালোচনা সম্পর্কিত এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ড. মলয় চৌধুরী।
সভার আগে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের নগরভবনের সামনে ডেঙ্গু প্রতিরোধে নেওয়া কার্যক্রম সম্পর্কে নগরবাসীদের সচেতন করার লক্ষ্যে এক র্যালিতে অংশগ্রহণ করেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী। র্যালিতে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ও বিভিন্ন ওয়ার্ডের কাউন্সিলররা অংশগ্রহণ করেন।
এ সময় সমসামময়িক বিভিন্ন দেশের পরিস্থিতি তুলে ধরে তাজুল ইসলাম বলেন, ‘বর্তমানে ১২৯টি দেশে ডেঙ্গু রোগের প্রাদুর্ভাব রয়েছে। বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির কারণে সারা পৃথিবীতেই এই রোগের প্রকোপ বাড়ছে। তবে আশার কথা হলো, ডেঙ্গু রোগের সংক্রমণ হ্রাস করা সম্ভব। সেজন্য এডিস মশার প্রজননস্থল ধ্বংস করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘এক্ষেত্রে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা তাদের নিজ নিজ এলাকার জনগণকে সঙ্গে নিয়ে জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম এবং পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান পরিচালনা করতে হবে।’
এ সময় তিনি এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেলে বা লার্ভা সৃষ্টির মতো উপযুক্ত পরিবেশ আছে এমন বাসা-বাড়ি থেকে শুরু করে বিভিন্ন অফিস আদালতকে বড় অংকের জরিমানার করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, নানাভাবে সতর্ক করার পরও মানুষের জীবনকে হুমকির মুখে ফেলার মতো অসচেতনতাকে ক্ষমা করার সুযোগ নেই।
এ সময় তিনি এডিস মশার প্রজননক্ষেত্র ধ্বংসে বিটিআই (বাসিলাস টুরিংজেনেসিস ইসরাইলেনসিস) প্যাকেটের মোড়ক উন্মোচন করেন।
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ