বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দূরদর্শী সিদ্ধান্তের ফলেই বাংলাদেশ আজ জ্বালানি খাতে সমৃদ্ধ। তিনি দেশের গ্যাস, দেশের মানুষের জন্য রাখতে এবং ভবিষ্যৎ জ্বালানি নিরাপত্তার কথা চিন্তা করেই শেল কোম্পানি থেকে ৫টি গ্যাস ক্ষেত্র কিনে নিয়েছিলেন। স্বাধীনতার মাত্র ৪ বছরের মধ্যেই তিনি এই ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধুর এই ঐতিহাসিক সিদ্ধান্তের মাধ্যমে সোনার বাংলাদেশ গঠনে সম্ভাবনার দিক তৈরি করেছিলেন।
বুধবার দুপুরে জাতীয় জ্বালানি নিরাপত্তা দিবস উপলক্ষ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তিতাস গ্যাস ফিল্ডস এর ১নং লোকেশনে ‘জ্বালানি নিরাপত্তায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদান’ শীর্ষক স্মৃতিফলক উন্মোচন অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, স্মৃতিফলক উন্মোচনের মাধ্যমে নতুন প্রজন্মের কাছে দেশের জ্বালানি খাতের সমৃদ্ধতা অর্জনে বঙ্গবন্ধুর অবদান তুলে ধরে যেতে চাই। ২০৪১ সালে বাংলাদেশ উন্নত বিশ্বের একটি দেশে রূপান্তরিত হবে এবং প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী স্মার্ট বাংলাদেশে পরিণত হবে।
বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস কোম্পানি লিমিটেড এর উদ্যোগে আয়োজিত অনুষ্ঠানে পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান জনেন্দ্র নাথ সরকারের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন পেট্রোবাংলার পরিচালক প্রশাসন মো. আলতাফ হোসেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. রুহুল আমিন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. ইকবাল হোসেন, বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস কোম্পানি লিমিটেড এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুস সুলতান। পরে গ্যাস ফিল্ড চত্বরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদান শীর্ষক স্মৃতিফলক উন্মোচন শেষে মোনাজাত করা হয়।
পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান জনেন্দ্র নাথ সরকার বলেন, সকল কূপ থেকে গ্যাস উত্তোলনের জন্য স্বল্প ও দীর্ঘ মেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়াও যে কূপগুলো বন্ধ রয়েছে সেগুলো ওয়ার্কওভার ও উন্নয়নের কাজ নিয়েছি। তিনি আরও বলেন, তিতাসে আরও নতুন কূপ অনুসন্ধান করার পরিকল্পনাও গ্রহণ করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, ওয়ার্কওভার ও নতুন গ্যাস কূপ অনুসন্ধান করার পাশাপাশি কূপের গভীরে গিয়ে গ্যাস উত্তোলনের চেষ্টা করা হচ্ছে।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল