গাইনোকলজিস্ট ডা. নওশিন শারমিন পূরবী বলেছেন, আমাদের দেশে কারও সন্তান না হওয়ার জন্য একতরফাভাবে নারীকে দায়ী করা হয়। কিন্তু এ দায় অর্ধেকই পুরুষের। কিন্তু পুরুষতান্ত্রিক সমাজ তা মেনে নিতে চায় না।
আজ শুক্রবার ইস্টওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপ লিমিটেডের কনফারেন্স রুমে ''আন্তর্জাতিক নারী দিবস ২০১৫: বাংলাদেশের বাস্তবতায় নারী অধিকার'' শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন।গোলটেবিল বৈঠকটির আয়োজন করে বাংলাদেশ প্রতিদিন।
জিন্নাতুন নুরের সঞ্চালনায় ডা. পূরবী বলেন, গবেষণায় দেখা গেছে বাংলাদেশে বন্ধাত্বের সমস্যা নিয়ে যেসব দম্পতি ডাক্তারদের কাছে আসেন তাদের অর্ধেক ক্ষেত্রেই সন্তান না হওয়ার জ্য পুরুষ মানুষটি দায়ী। কিন্তু তারা তা মেনে নিতে চান না। এক্ষেত্রে পুরুষ লোকটি দ্বিতীয়বার বিয়ে করেন সন্তানের জন্য। এছাড়া সন্তান জন্মদানের ক্ষেত্রে ৪৫ ভাগ নারী কোন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেন না। ৬৮ ভাগ নারী মনে করেন এটার কোন প্রয়োজন নেই। এর কারণ এখনও অনেক পরিবারের মুরুব্বীরা মনে করেন তাদের সন্তান এমনিতেই হয়েছে, এজন্য ডাক্তারের কাছে যাওয়ার প্রয়োজন নেই। এমনকি গর্ভাবস্থায় তাদেরকে ভাল খাবারও দেওয়া হয় না। মনে করা হয় তাতে বাচ্চা বড় হয়ে যাবে যা প্রসবের সময় সমস্যা তৈরি করবে। এটা অত্যন্ত ভুল ধারণা। একারণে বাংলাদেশে নারী মৃত্যুর ১৪ ভাগই হয় মাতৃত্বের সময়।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের নারীদের শারীরিক ও মনিসিক স্বাস্থ্য এখনও চরম ঝুঁকিতে। এখনও ৭১ ভাগ সন্তান প্রসব হয় বাড়িতে। সবকিছুর পেছনে নারীর অর্থনৈতিক মুক্তির বিষয়টি জড়িত। এখনও নারী অর্থনৈতিকভাবে পুরুষ পার্টনারের ওপর নির্ভর করে। এই অবস্থা বদলাতে হবে। নারীর অর্থনৈতিক মুক্তি মিললেই নারী অধিকার বাস্তবায়ন হবে।
বিডি-প্রতিদিন/০৬ মার্চ ২০১৫/ এস আহমেদ