ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. জিনাত হুদা বলেছেন, নারী অধিকার বাস্তবায়নে গণমাধ্যম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। তবে টেলিভিশন চ্যানেলগুলোর আধেয় নিয়ে প্রশ্ন আছে। সেখানে নানা অনুষ্ঠান, বিজ্ঞাপনে নারীকে ভোগ্য পণ্য হিসেবে উপস্থাপন করা হচ্ছে। এসবের মাধ্যমে যেন পুরুষতান্ত্রিকতাকে পুনপ্রতিষ্ঠার চেষ্টা চলছে। বিষয়টা নিয়ে সংশ্লিষ্টদের ভাবা দরকার।
আজ শুক্রবার ইস্টওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপ লিমিটেডের কনফারেন্স রুমে ''আন্তর্জাতিক নারী দিবস ২০১৫: বাংলাদেশের বাস্তবতায় নারী অধিকার'' শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন। গোলটেবিল বৈঠকটির আয়োজন করে বাংলাদেশ প্রতিদিন।
জিন্নাতুন নুরের সঞ্চালনায় জিনাত হুদা বলেন, নারী চিরন্তর সংগ্রামী। সে নিজের সঙ্গে সংগ্রাম করে, পরিবারের সঙ্গে সংগ্রাম করে, স্বামীর সঙ্গে সংগ্রাম করে, সরকারের সঙ্গে সংগ্রাম করে, সর্বপরি সমাজের সঙ্গে সংগ্রাম করে। একজন নারী নানাবিধ মনস্তাত্বিক চাপের মধ্যে থাকে। সে নির্যাতিত হলেও তা প্রকাশ করতে পারে না। অনেক বিশ্ববিদ্যালয়েও পুরুষ শিক্ষক দ্বারা নারী শিক্ষক ও ছাত্রীরা নির্যাতনের শিকার হন। কিন্তু তারা তা বলতে পারেন না। আজ এ অবস্থা থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর সময় এসেছে। নারীরা এখন রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, স্পিকারসহ অনেক বড় বড় দায়িত্ব পালন করছে। কিন্তু অনেক নারী নিজেই নিজেকে শৃঙ্খলে আবদ্ধ করে রাখে। তারা শৃঙ্খল ভেঙে বেরিয়ে আসতে চায় না। উল্টো বন্দিত্বকে পরিপালন করে। এ অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।
তিনি বলেন, সমাজের নানা কুসংস্কার নারীর চলার পথে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে। এসব কুসংস্কার নারীর ওপর একতরফাভাবে চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে। সেই জায়গায় নজর দেওয়া দরকার।
বিডি-প্রতিদিন/০৬ মার্চ ২০১৫/ এস আহমেদ