পুলিশের ডেপুটি কমিশনার রাশিদা সুলতানা বলেছেন, সমাজের সব স্তরে নারী নির্যাতনের ঘটনা ঘটছে। কিন্তু নির্যাতিত হলেও নারীরা পুলিশের কাছে যায় না। কখনো ডিভোর্স হবার ভয়ে, কখনো সমাজে ছোট হবার ভয়ে, কখনো বিচার না পেয়ে উল্টো ফের নির্যাতিত হবার ভয়ে। এখান থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। এজন্য একটা হটলাইন চালু করে তার ব্যাপক প্রচার চালালে ও হটলাইনে আসা অভিযোগের উপযুক্ত বিচার নিশ্চিত করা গেলে পরিস্থিতি বদলাবে। আর নারী নির্যাতনের ঘটনা তদন্তে যখন কোন নারী পুলিশ কর্মকর্তা থাকবেন এবং বিচারকের আসনে নারী জজ থাকবেন তখন এ বিষয়গুলোর অনুধাবনও ভিন্ন হবে।
আজ শুক্রবার ইস্টওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপ লিমিটেডের কনফারেন্স রুমে ''আন্তর্জাতিক নারী দিবস ২০১৫: বাংলাদেশের বাস্তবতায় নারী অধিকার'' শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন। গোলটেবিল বৈঠকটির আয়োজন করে বাংলাদেশ প্রতিদিন।
জিন্নাতুন নুরের সঞ্চালনায় পুলিশের এ কর্মকর্তা বলেন, নারীরা এখন সর্বক্ষেত্রে অবদান রাখছে। জজ, ম্যাজিস্ট্রেট, সামরিক বাহিনী, পুলিশ- সর্বক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ বাড়ছে। তবে এ হার অতি কম। এটা যত দ্রুত বৃদ্ধি পাবে ততই নারীর অগ্রগতি তরান্বিত হবে। কিন্তু এখনও সিভিল সার্ভিসে নারীর হার শতকরা ১০ ভাগ। এটা ৩০ ভাগ হবার কথা। পুলিশে নারী ৫ দশমিক ৮ ভাগ। উন্নত দেশে এটা ২৫ ভাগের বেশি।
তিনি বলেন, ১৯৯৯ সালে আমি যখন পুলিশ বাহিনীতে যোগদান করি তখন পোশাক পরে বাইরে বের হলে আমাকে দেখতে মানুষের ভিড় পড়ে যেত। এখন আর সে অবস্থা নেই। নারীরা এখন অহরহ বিভিন্ন বাহিনীতে কৃতীত্বের সঙ্গে ভূমিকা রাখছে। নারীদের এ পরিবর্তন বাবাদের উৎসাহিত করছে তার মেয়েকে উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত করতে। এটা নারীর অগ্রগতিতে গুরুত্বপূর্ণ।
পুলিশের এ কর্মকর্তা বলেন, নারীদের অর্জন নিয়ে গর্ব করার মতো অনেককিছুই আছে। জাতিসংঘে আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন বাংলাদেশেরই এক নারী। ক্রমেই নারীর অবস্থান বদলাচ্ছে।
বিডি-প্রতিদিন/০৬ মার্চ ২০১৫/ এস আহমেদ