সাবেক সেনা কর্মকর্তা মেজর জেনারেল (অব.) মোহাম্মদ আলী শিকদার বলেছেন, নানা চ্যালেঞ্জিং পেশায় নারীরাও পুরুষের সঙ্গে সমান তালে চলছে। সেনাবাহিনীতেও নারীরা কৃতিত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছে। জাতিসংঘে শান্তিরক্ষা মিশনেও অসাধারণ ভূমিকা রাখছে। তারা প্রমাণ করেছে যে কোন চ্যালেঞ্জিং পেশাই তারা গ্রহণ করতে প্রস্তুত।
আজ শুক্রবার ইস্টওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপ লিমিটেডের কনফারেন্স রুমে ''আন্তর্জাতিক নারী দিবস ২০১৫: বাংলাদেশের বাস্তবতায় নারী অধিকার'' শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন। গোলটেবিল বৈঠকটির আয়োজন করে বাংলাদেশ প্রতিদিন।
জিন্নাতুন নুরের সঞ্চালনায় সাবেক এ সেনা কর্মকর্তা বলেন, ২০০০ সালে আমি যখন সেনাবাহিনীতে ছিলাম তখন বাহিনীতে কমব্যাট রোলে (সরাসরি যুদ্ধে) নারীদের নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। সে সময় নারীদের আগ্রহ দেখে অবাক হয়েছি। তাদের প্রশ্ন করেছিলাম- ফিজিক্যাল চ্যালেঞ্জ সম্পর্কে অবগত কিনা? উত্তর ছিল- জেনেশুনেই তারা এসেছে। সেখানে দেখেছি পুরুষদের চেয়ে নারীরা কোন হিসেবেই কম নয়।
তিনি বলেন, নারীরা আজ সর্বক্ষেত্রে কৃতিত্বের সাক্ষর রাখছে। আমার মেয়েও সমাজে প্রতিষ্ঠিত হোক, অনেক বড় অবস্থানে যাক তাই আমি চাই। তার অধিকার ও চাহিদা পূরণে আমি যেহেতু সর্বশক্তি দিয়ে চেষ্টা করছি, তাহলে অন্য মেয়ের ক্ষেত্রে দৃষ্টিভঙ্গি ভিন্ন হবে কেন? তাদের দিকেও একই দৃষ্টিতে তাকানো উচিত। সকল নারীই সমাজে প্রতিষ্ঠিত হোক এমন চাওয়া আমাদের মাঝে গড়ে উঠতে হবে।
মেজর জেনারেল (অব.) শিকদার বলেন, হেফাজতের মতো উগ্র সংগঠন ১৩ দফা দাবি দিয়েছিল। নারীদের চতুর্থ শ্রেণির ওপরে পড়াশুনা করার বিরুদ্ধে তাদের দাবি পেশ করেছিল। সেখানে একজন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষককে দেখেছিলাম তাদের বক্তব্যের স্বপক্ষে যুক্তি দিতে। তিনি বলেছিলেন- এগুলো না মানলে দোজখে যেতে হবে। মূলত আমাদের উপলব্ধিতে ঘাটতি রয়েছে। আমাদের প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা ব্যবস্থায় গলদ রয়েছে। এটা দূর না করলে পরিস্থিতির উন্নতি হবে না।
বিডি-প্রতিদিন/০৬ মার্চ ২০১৫/ এস আহমেদ