দেশের চলমান রাজনৈতিক সঙ্কট নিরসনে এবার সরকারকে নতুন তিন শর্ত দিলেন সাবেক রাষ্ট্রপতি ও বিকল্পধারার সভাপতি অধ্যাপক ডা. একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরী।
শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ আয়োজিত সমাবেশে তিনি এই শর্তের কথা বলেন।
এদিন, বদরুদ্দোজা চৌধুরী বলেন, গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে বন্ধু রাষ্ট্রের কূটনীতিকরা দেশের সঙ্কট সমাধানে খালেদা জিয়াকে কয়েকটি প্রস্তাব দিয়েছেন। এর মধ্যে বিএনপি চেয়ারপারসন ‘রাষ্ট্রপতির অধীনে সবগুলো দলের সমন্বয়ে জাতীয় সরকারের অধীনে অন্তর্বর্তীকালীন নির্বাচন’ প্রস্তাবটি গ্রহণ করেছেন। কিন্তু আমি মনে করি বিএনপির চেয়ারপারসনের মেনে নেওয়া প্রস্তাবের সাথে তিনটি শর্ত যুক্ত করলে স্থায়ীভাবে চলমান সঙ্কটের সমাধান হবে।
প্রথমত: যেহেতু দশম জাতীয় সংসদ অবৈধ তাই নবম সংসদের নির্বাচিত সদস্যদের নিয়েই রাষ্ট্রপতির অধীনে জাতীয় সরকার গঠন করতে হবে।
দ্বিতীয়: ওই জাতীয় সরকারে যারা থাকবেন তারা আগামী নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না।
তৃতীয়ত: জাতীয় সরকার প্রতিষ্ঠার পর প্রধান কাজ হবে একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠন করা এবং আগামী নির্বাচনে সকল দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করে তিন থেকে ছয় মাসের মধ্যে নির্বাচন দেওয়া।
প্রসঙ্গত, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ ১৬ দেশের কূটনীতিকরা গত মঙ্গলবার খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তিনটি প্রস্তাব দেন। তার মধ্যে প্রথমটি হচ্ছে- শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী রেখে সবগুলো দলের সমন্বয়ে জাতীয় সরকারের অধীন অন্তর্বর্তীকালীন নির্বাচন। দ্বিতীয় প্রস্তাব- রাষ্ট্রপতির অধীনে সবগুলো দলের সমন্বয়ে ২০১৬ সালের প্রথমদিকে জাতীয় সরকারের অধীন অন্তর্বর্তীকালীন নির্বাচন। তৃতীয় প্রস্তাবটি ছিল- জামায়াতে ইসলামীকে বাদ দিয়ে সংলাপ শুরুর নিশ্চয়তা।
এর আগে গত ৩ ফেব্রুয়ারি প্রেস ক্লাবে আয়োজিত পেশাজীবী সমাবেশেই সঙ্কট সমাধানে প্রধানমন্ত্রীকে তিনটি প্রস্তাব দিয়ে বি চৌধুরী বলেছিলেন, ‘সঙ্কট সমাধানের একটাই প্রেসক্রিপশন হলো সংলাপ।
সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক রুহুল আমিন গাজীর সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য দেন- প্রবীণ আইনজীবী ব্যারিস্টার রফিকুল হক, খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা শওকত মাহমুদ, ড্যাবের সভাপতি অধ্যাপক আজিজুল হক প্রমুখ।
বিডি-প্রতিদিন/০৭ মার্চ, ২০১৫/মাহবুব