কার্লো আনসেলত্তি স্বীকার করছেন, তার কোচিং ক্যারিয়ারে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের বিপক্ষে ম্যাচটাই ছিল সবচেয়ে বাজে। রিয়াল মাদ্রিদ তাদের ইতিহাসেরই সবচেয়ে বাজে একটা ম্যাচ খেলল শনিবার। বহু বছর ধরে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ এমন নিষ্ঠুরভাবে পরাজিত করেনি লস ব্ল্যাঙ্কোসদের। শনিবারের জয় (৪-০) অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদকে লস ব্ল্যাঙ্কোসদের বিপক্ষে টানা ছয় ম্যাচে অপরাজিত রাখল।
স্প্যানিশ লা লিগায় একই মৌসুমে হোম এবং অ্যাওয়ে ম্যাচে অ্যাটলেটিকো রিয়াল মাদ্রিদকে হারানোর ইতিহাস ছিল কেবল তিনবার। ১৯৪০-৪১ মৌসুমে রিয়াল মাদ্রিদকে সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে হারিয়েছিল ৩-১ গোলে। ভিসেন্ট ক্যালডেরনে অ্যাটলেটিকো জয় পেয়েছিল ৪-১ গোলে। সেবার লা লিগার শিরোপাও জয় করেছিল রোজি ব্ল্যাঙ্কোসরা। এরপর ১৯৪২-৪৩ মৌসুমেও লা লিগায় দুই লেগেই জয় পায় অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ। শেষবার ১৯৫০-৫১ মৌসুমে এই কৃতিত্ব অর্জন করেছিল রোজি ব্ল্যাঙ্কোসরা। দীর্ঘ ৬৪ বছর পর আরও একবার একই মৌসুমে লা লিগায় দুই লেগে জয় পাওয়ার গৌরব অর্জন করল অ্যাটলেটিকো। দিয়েগো সিমিওনের শিষ্যরা চলতি মৌসুমে রিয়াল মাদ্রিদের সব যোগ্যতাকে অস্বীকার করে নিজেদের অপ্রতিরোধ্য হিসেবে প্রমাণ করেছে। তাছাড়া ৪-০ গোলে রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে জয়ের রেকর্ডও খুব বেশি নেই অ্যাটলেটিকোর। এর আগে লা লিগায় মাত্র চার বার ৪-০ গোলে রিয়াল মাদ্রিদকে হারিয়েছে তারা। ১৯৫০-৫১ মৌসুমে প্রথবার ৪-০ গোলে নিজেদের মাঠে রিয়ালকে হারায় রোজি ব্ল্যাঙ্কোসরা। এরপর ১৯৭৬-৭৭, ১৯৮৪-৮৫ এবং ১৯৮৭-৮৮ মৌসুমে ৪-০ গোলে মাদ্রিদ ডার্বি জয় করে অ্যাটলেটিকো। শেষ দুইবার জিতেছে সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে। অবশ্য রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে অ্যাটলেটিকোর সর্বোচ্চ জয় ৫-০ গোলে। নিজেদের মাঠে তারা ১৯৪৭-৪৮ মৌসুমে এই ব্যবধানে পরাজিত করেছিল শহুরে প্রতিপক্ষদের। শনিবারের জয়টা অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের জন্য শুভ হয়েই দেখা দিল। লা লিগায় ২২ ম্যাচে ৫০ পয়েন্ট সংগ্রহ করে তিন নম্বরে অবস্থান করছে দিয়েগো সিমিওনের শিষ্যরা। সমান ম্যাচে ৫৪ পয়েন্ট সংগ্রহ করে শীর্ষে রয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ। গত রাতে বার্সেলোনা জয় পেয়ে থাকলে তারা ৫৩ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। লা লিগার বর্তমান এই অবস্থান বলছে, এখনো শিরোপার লড়াইয়ে রিয়াল মাদ্রিদের সঙ্গে টিকে আছে বার্সেলোনা এবং অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ। অবশ্য রিয়াল মাদ্রিদের পর্তুগিজ তারকা এরই মধ্যে ঘোষণা দিয়েছেন, রিয়ালই লা লিগায় শেষ হাসি হাসবে। রোনালদোর এই আশা পূরণ হবে কি না তা কেবল সময়ই বলতে পারে।