'রনি তালুকদার নয়, এ আমাদের রনি টেন্ডুলকার' -এক দর্শক উচ্ছ্বসিত হয়ে বিসিবির ওয়েবসাইটে ঢাকা-চট্টগ্রাম ম্যাচের স্কোর কার্ডের নিচে মন্তব্যে লিখেছেন কথাটি! সত্যিই তো, কী খেললেন ঢাকা বিভাগের ওপেনার রনি তালুকদার। আবারও ডাবল সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন। ঘরোয়া লিগে টানা তিন ম্যাচে দুই ডাবল সেঞ্চুরিসহ তিন সেঞ্চুরি! নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করলেন রনি তালুকদার। তিন ম্যাচে তার মোট রান ৫৯১। এখনো আরেকটি ইনিংস তো রয়েছেই।
আগের দিনের ৬২ রানের ইনিংসটাকে টেনে নিয়ে গেছেন ডাবল সেঞ্চুরিতে। স্পিনার ইউনুসের বলে আউট হওয়ার আগে ২০১ রান করেছেন। খেলেছেন মাত্র ২৪০ বল। কাল আগ্রাসীভাবেই ব্যাটিং করেছেন রনি। ২২টি বাউন্ডারি ছাড়াও ৭টি বিশাল ছক্কা হাঁকিয়েছেন। প্রথম ম্যাচে ডাবল সেঞ্চুরি, দ্বিতীয় ম্যাচে সেঞ্চুরি, তৃতীয় ম্যাচেও আবারও ডাবল সেঞ্চুরি রনির। কাল ঢাকার আগের ওপেনার আবদুল মজিদও সেঞ্চুরি আদায় করে নিয়েছেন। ওপেনিং জুটিতে আবারও তিন শতাধিক রানের জুটি (৩০৪ রান)। একটুর জন্য কয়েকদিন আগে নিজেদের করা ঘরোয়া ক্রিকেটের সর্বোচ্চ রানের জুটিটা ভাঙতে পারলেন না রনি-মজিদ জুটি। আগের ম্যাচে তারা করেছিলেন ৩১৪ রান। ব্যাটসম্যানদের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে দ্বিতীয় দিন শেষে চট্টগ্রামের বিরুদ্ধে ৪ উইকেটে ৫১৮ রান করেছে ঢাকা বিভাগ। প্রথম ইনিংসে চট্টগ্রামকে মাত্র ১৫৫ রানে অলআউট করে দিয়েছিল ঢাকা।
মাত্র ৬ রানের জন্য টানা তৃতীয় সেঞ্চুরি মিস করেছেন খুলনার ব্যাটসম্যান ইমরুল কায়েস। গতকাল ৯৪ রানে তিনি আউট হয়েছেন। আগের ম্যাচে দুই ইনিংসেই সেঞ্চুরি করেছেন জাতীয় দলের সাবেক এই ওপেনার। ইমরুলের দাপুটে ব্যাটিংয়ের পরও রংপুরের বিরুদ্ধে বিপদে পড়েছে খুলনা। সতীর্থরা সুবিধা করতে না পারায় কাল মাত্র ২১৩ রানেই গুটিয়ে যায় তাদের ইনিংস। রংপুরের বোলার মাহমুদুল হাসান নিয়েছেন ৫ উইকেট। ৪ উইকেট নিয়েছেন সঞ্জীব সাহা। রংপুরের প্রথম ইনিংসের চেয়ে ৯৭ রানে পিছিয়ে খুলনা।
দুই ওপেনারের দুর্দান্ত শুরুতে কালকের দিনটা দারুণ কেটেছে বরিশালের। প্রথম ইনিংসে ঢাকা মেট্রোর করা ৪০০ রানের পর বরিশাল বিনা উ্ইকেটে ১৪১ রান করেছে। আগের ম্যাচে ডাবল সেঞ্চুরি করা শাহরিয়ার নাফিস এ ম্যাচেও সেঞ্চুরির পথে। ৭৯ রানে অপরাজিত রয়েছেন তিনি। ৫৫ রানে ব্যাট করছেন আরেক ওপেনার সাঈফ হাসান। এখনো ঢাকা মেট্রোর চেয়ে ২৫৯ রানে পিছিয়ে বরিশাল। তবে হাতে রয়েছে ১০ উইকেটই।
ব্যাটসম্যানদের পর রাজশাহীর বোলাররা দারুণ করছেন। সিলেটের বিরুদ্ধে প্রথম ইনিংসে মাইশুকুর রহমান ও জুনায়েদ সিদ্দিকের জোড়া সেঞ্চুরিতে ৪৮২ রান করে রাজশাহী। তারপর বোলারদের দৃঢ়তায় কাল ৮৩ রানেই সিলেটের ৪ উইকেট নিয়েছেন রাজশাহীর বোলাররা। দিন শেষে সিলেটের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ৯৬। এখনো তারা ৩৮৬ রানে পিছিয়ে। সিলেটের ভরসা অধিনায়ক অলোক কাপালি ২৮ রানে অপরাজিত রয়েছেন। তার ওপরই নির্ভর করছে সিলেটের ভাগ্য। বড় ইনিংস খেলতে না পারলে আজ ফলোঅন থেকে রক্ষা পাওয়া কঠিন হয়ে যাবে!