চট্টগ্রামের গবেষণা সংস্থা ডিজিজ বায়োলজি এন্ড মলিকুলার এপিডেমিওলজি রিসার্চ গ্রুপ (ডিবিএমই) এবং নেক্সট জেনারেশন সিকুয়েন্সিং, রিসার্চ এন্ড ইনোভেশন ল্যাবরেটরির (এনরিচ) উদ্যোগে দুই সপ্তাহব্যাপী ‘মেটজিনোমিক্স, নেক্সট জেনারেশন সিকুয়েন্সিং, ডাটা এনালাইসিস’ শীর্ষক কর্মাশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। নগরের মেহেদীবাগস্থ প্রহর মিলনায়তনে কর্মশালার সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম-৮ আসনের সংসদ সদস্য নোমান আল মাহমুদ।
বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপপরিচালক ডা. বিদ্যুৎ বড়ুয়া, চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যাথলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. জুনায়েদ সিদ্দিকি, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মেরিন সায়েন্সেস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. শাহনেওয়াজ চৌধুরী। সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. এস এম রফিকুল ইসলাম।
সঞ্চালনা করেন চবি জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. আদনান মান্নান। কর্মশালায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ, ইউএসটিসি, এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেন, আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫০ জন গবেষক অংশ নেয়।
প্রশিক্ষক ছিলেন মোনাশ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক ড. হামিদ হোসেন, আইসিডিডিআরবি’র বিজ্ঞানী ড. মুহাম্মাদ জুবায়ের, চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. জুনায়েদ সিদ্দিকি এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. আদনান মান্নান। কর্মশালার উদ্বোধন করেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের ডায়বেটিস ও হরমোন বিভাগের প্রধান ডা. ফারহানা আকতার।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি নোমান আল মাহমুদ বলেন, বর্তমান সরকারের অগ্রাধিকারের ক্ষেত্রসমূহের মধ্যে প্রধান হলো বিজ্ঞান ও গবেষণা। দেশে যত বেশি সাম্প্রতিক বিজ্ঞান বিষয়ের ওপর গবেষণা হবে, তত বেশি সমস্যার সমাধান বেরিয়ে আসবে। জিনোমিক্স গবেষণা মানব শরীর ও জীবিত বস্তুর গভীর রহস্যকে অনুধাবন করতে এবং তার পেছনের কারণ নির্ণয় করতে বিশাল ভূমিকা রাখে। তাই স্বাস্থ্য সংকট মোকাবিলায় জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের গুরুত্ব অপরিসীম। চট্টগ্রামে এ নিয়ে দক্ষ জনশক্তি গড়ে তোলা দরকার।
ডা. বিদ্যুৎ বড়ুয়া বলেন, যেকোনো মহামারি মোকাবিলায় জিনোম ও অণুজীব নিয়ে গবেষণা খুব প্রয়োজন। বিজ্ঞানীরা দেশের উন্নতিতে বিশাল ভূমিকা রাখতে পারেন। কর্মশালা ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে নিজেদের গবেষণার অবকাঠামো বাড়াতে হবে।
ড. জুনায়েদ সিদ্দিকি বলেন, কর্মশালা চট্টগ্রামকে বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে স্বয়ংসম্পূর্ণ করতে সাহায্য করবে।
ড. শাহনেওয়াজ চৌধুরী বলেন, সাগরের বিশাল সম্পদকে কাজে লাগাতে হলে জিনোম নিয়ে গবেষণা ও বায়োটেকনোলজি নিয়ে কাজকে প্রাধান্য দিতে হবে।
অনুষ্ঠানে প্রশিক্ষণার্থীদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সৌরভ সাহা জয়, সুমাইয়া হাফিজ রিয়ানা ও আঞ্জেসু পাল।
বিডি প্রতিদিন/এমআই