চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগের গেটের সামনের ফার্মেসিগুলোতে জেলা প্রশাসনের কর্মচারীরা ডেঙ্গু রোগীর অতি জরুরি ডিএনএস স্যালাইন কিনতে গেলে তা পাওয়া যায়নি। কিন্তু একটু পরেই জেলা প্রসাশনের অভিযান দল সেখানে গেলে পর্যাপ্ত পরিমাণ ডিএনএস স্যালাইন মিলে।
এ সময় ডিএনএস স্যালাইনের কৃত্রিম সংকট ও ওষুধের বাজারে নৈরাজ্য সৃষ্টির অপরাধে সময় সাহান মেডিকোকে ২০ হাজার, সবুজ ফার্মেসিকে ১০ হাজার, ইমন মেডিকেল হলকে ২০ হাজার এবং পপুলার মেডিসিন কর্নারকে ৩০ হাজারসহ মোট ৮০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। একই সময় ময়লা ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্য তৈরির দায়ে ভান্ডারি হোটেলকে ২০ হাজার টাকা এবং আল মঞ্জুর হোটেলকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
বুধবার বিকালে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রতীক দত্তের নেতৃত্বে পরিচালিত অভিযানে উপস্থিত ছিলেন ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক এস এম সুলতানুল আরেফীন এবং পাচলাইশ থানার সাব ইন্সপেক্টর জাকির হোসেন।
জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রতীক দত্ত বলেন, বিকালে চমেক হাসপাতালের সামনের ফার্মেসিগুলোতে জেলা প্রসাশনের কয়েকজন কর্মচারি রোগী সেজে ডিএনএস স্যালাইন কিনতে যান। কিন্তু কোনো ফার্মেসিতে তা পাওয়া যায়নি। পরক্ষণেই আমরা সেখানে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করলে সকল দোকানেই পর্যাপ্ত পরিমাণ ডিএনএস স্যালাইন পাওয়া যায়। মূলত স্যালাইনের কৃত্রিম সংকট তৈরি করে দাম বাড়াতে চাইছে একটি সিন্ডিকেট। তাই চারটি ফার্মেসিকে ৮০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
বিডি প্রতিদিন/এএম