১১ দফা দাবিতে আন্দোলনে অনড় রয়েছেন খুলনা-যশোর রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল শ্রমিকরা। শুক্রবার বিকালে খুলনার খালিশপুরে বিশাল শ্রমিক জনসভায় দ্বিতীয় দফার কর্মসূচি ঘোষনা করা হয়েছে।
রাজপথ-রেলপথ অবরোধসহ ধারাবাহিক কর্মসূচিতে সারাদেশের রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলগুলোতে ৪৮ ঘন্টার ধর্মঘট পালন করবে শ্রমিকরা। এতে সভাপতিত্ব করেন খুলনা-যশোর রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল শ্রমিক সিবিএ-ননসিবিএ পরিষদের সদস্য সচিব আব্দুল মান্নান। শ্রমিক নেতারা বলেন, দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।
জানা যায়, বকেয়া মজুরি পরিশোধ, মজুরি কমিশন ও অস্থায়ী শ্রমিকদের স্থায়ীকরণসহ ১১ দফা দাবিতে প্রথম দফার আন্দোলন কর্মসূচিতে গত ২৮ ডিসেম্বর থেকে খুলনা-যশোরের ৮ রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলে উৎপাদন বন্ধ রয়েছে।
বাংলাদেশ পাটকল করপোরেশনের (বিজেএমসি) তথ্য অনুযায়ী টানা ১৩ দিনের ধর্মঘটে এরই মধ্যে ২৬০০ মেট্রিক টন পাটপন্যের উৎপাদন ব্যাহত হয়েছে। যার বাজার মূল্য প্রায় ২৬ কোটি টাকা।
রাষ্ট্রায়ত্ত ইস্টার্ন জুট মিল মজদুর ইউনিয়নের সভাপতি মো. আলাউদ্দিন মিয়া বলেন, মজুরী না পেয়ে শ্রমিকরা পরিবার-পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। খালিশপুর জুট মিলের কর্মকর্তারা কাজে যোগ দেওয়ার শর্তে কয়েক সপ্তাহের বকেয়া মজুরি দেওয়ার প্রস্তাব দিলেও শ্রমিকরা সেই প্রস্তাব প্রত্যাখান করে। তিনি বলেন, দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত শ্রমিক আন্দোলন চলবে।
এদিকে পাট ও পাট শিল্প রক্ষা কমিটি ঢাকায় এক সংবাদ সম্মেলনে পাটকল শ্রমিকদের অধিকার রক্ষা, অবসরপ্রাপ্ত শ্রমিকদের বকেয়া পরিশোধ ও পাট শিল্পের উন্নয়নে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা গ্রহনের দাবি জানিয়েছেন। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক খালিদ হোসেন।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সভাপতি শ্রমিক নেতা শহিদুল্লাহ চৌধুরী, আদমজী জুটমিল রক্ষা কমিটি সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি মোঃ শাহাবুদ্দিন, সিদ্দিকুর রহমান, ফিরোজা বেগম, সাখাওয়াত হোসেন প্রমুখ।
বিডি-প্রতিদিন/ আব্দুল্লাহ সিফাত তাফসীর