নিখুঁত দক্ষতায় রাতের অন্ধকারে পাকিস্তানে ঢুকে 'সার্জিক্যাল স্ট্রাইক'র মতো হামলা চালিয়ে সাফল্য পাওয়ার পর এবার নতুন পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে ভারতীয় সেনাবাহিনী। দেশটি এবার এমন এক অপারেশন চালাতে চায়, সেখানে কোন সেনার মৃত্যুর সম্ভাবনা থাকবে না। কারণ, দেশটির সেনাবাহিনীর ফ্লিটে যুক্ত করা হচ্ছে কমব্যাট ড্রোন। যা অপারেশনে ঝুঁকি অনেক কমিয়ে দেবে। মিসাইল যুক্ত ওই ড্রোন তৈরি হচ্ছে ভারতের এক গোপন প্রজেক্টে, যার নাম দেওয়া হয়েছে 'প্রজেক্ট চিতা'।
কলকাতা টুয়েন্টিফোর'র প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, 'প্রজেক্ট চিতা'র এই বিশেষ উদ্যোগের জন্য বাজেট বরাদ্দ প্রায় ১০,০০০ কোটি। ইসরায়েল এয়ারক্রাফট ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে হাত মিলিয়ে এই বিশেষ ড্রোন তৈরি করছে ভারত। দেশটির বিমানবাহিনীল এক সূত্র জানিয়েছে, ভারতের ঘরে থাকা ‘হেরন’ ড্রোনকেই আপগ্রেড করা হবে। যাতে থাকবে নজরদারি চালানোর অত্যাধুনিক ব্যবস্থা। পাশাপাশি, এইসব ড্রোনে থাকবে মিসাইল, যা সীমান্ত পার করে জঙ্গিঘাঁটিগুলোকে চিহ্নিত করে আঘাত হানতে পারবে অনায়াসে।
ভারতের এয়ারফোর্সের সাবেক ভাইস চিফ এয়ার মার্শাল আরকে শর্মা বলেন, ড্রোন যখন বিভিন্ন জায়গায় নজরদারি চালাতে সক্ষম, তখন তার আঘাত করার ক্ষমতা থাকাও প্রয়োজন। এর জন্য অন্য এয়ারক্রাফট নিযুক্ত না করাই ভালো। এর ফলে জঙ্গিঘাঁটি থাকার খবর পেলেই একেবারে নিঃশব্দে ৩০,০০০ ফুট উপর থেকে আঘাত করতে পারবে এইসব জঙ্গিঘাঁটিতে। এ ড্রোন ব্যবহারে অনেক দূরে বসেই সেই ড্রোন কন্ট্রোল করতে পারবে সেনা কর্মকর্তরা। তাছাড়া সাধারণ মানুষের কোন ক্ষতি না করেই সফলভাবে মিসাইল নিক্ষেপ করা সম্ভব হবে।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার