জিম্বাবুয়ের সেনাবাহিনী এবং নিজের দলের চাপের মুখে পদত্যাগ করতে রাজি হন জিম্বাবুয়ের সাবেক প্রেসিডেন্ট রবার্ট মুগাবে। সেই সময় পানিতে ভিজে যায় তার চোখ। সতীর্থ বা সহযোদ্ধা বলে মনে করতেন যাদের, তারাই বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। মানতে পারেননি সত্যিটা। ক্ষোভে-দুঃখে কেঁদে ফেলেছিলেন তিনি।
মুগাবের ঘনিষ্ঠ সূত্রকে উদ্ধৃত করে জিম্বাবুয়ের একটি দৈনিক তাদের প্রতিবেদনে লিখেছে, পার্লামেন্ট তাকে ইমপিচ করার জন্য প্রস্তাব আলোচনা করছে দেখেই পদত্যাগের কথা ঘোষণা করার সিদ্ধান্ত নেন মুগাবে। তিনি চোখ নিচু করে ঘনিষ্ঠদের কাছে বলেছিলেন, ‘‘লোকগুলো সব টিকটিকি।’’
মুগাবের যে কাছের বন্ধু সেনাবাহিনীর সঙ্গে তার হয়ে মধ্যস্থের কাজ করেছিলেন, সেই ফাদার ফিডেলিস মুকোনোরি জানিয়েছেন, ‘‘পদত্যাগপত্র সই করার পরে উজ্জ্বল হয়ে ওঠে মুগাবের মুখ। পরে আর তাকে ভারাক্রান্ত মনে হয়নি। আমি তাকে বলেছিলাম, ভালই তো, আপনি অন্য কাউকে দেশ চালাতে দেখতে পাবেন।’’ এই সব দাবিই করা হয়েছে সেই সংবাদপত্রে।
বিডি-প্রতিদিন/ আব্দুল্লাহ সিফাত তাফসীর