পরমাণু কর্মসূচি ছাড়তে উত্তর কোরিয়াকে চাপে রাখতে চায় যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা।
মার্কিন প্রতিরক্ষমন্ত্রী জেমস ম্যাটিস বলেছেন, ‘শান্তিপ্রিয় হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়া অলিম্পিক ইস্যুতে পিয়ংইয়ং ও সিউলের মধ্যে আলোচনাকে স্বাগত জানায়। তবে একই সঙ্গে কোরীয় উপদ্বীপকে পরমাণু অস্ত্র মুক্ত করতে আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক চাপও অব্যাহত রাখতে চায়।’
ইউএস প্যাসিফিক কমান্ডের প্রধান কার্যালয় হনলুলুতে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী সং ইয়ং-মুর সঙ্গে বৈঠকের শুরুতে ম্যাটিস এ মন্তব্য করেন।
প্রতিরক্ষামন্ত্রী ম্যাটিস বলেন, উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের বাগাড়ম্বর ও উসকানি কূটনীতির মাধ্যমেই মোকাবেলা করতে হবে। তিনি সতর্ক করে আরো বলেন, শীতকালীন অলিম্পিক এবং আন্তঃকোরীয় সম্পর্কের মাধ্যমে সমস্যার সমাধান হবে না।
ম্যাটিস বলেন, ‘কিম সরকার গোটা বিশ্বের জন্য হুমকি...আমাদের দায়িত্ব হচ্ছে এই হুমকি কূটনৈতিকভাবে সমাধান করা। একই সঙ্গে বিকল্প হিসেবে সামরিক শক্তির বিষয়টিও বাদ না দেওয়া।’
পিয়ংইয়ং আগামী মাসে দক্ষিণ কোরিয়ায় অনুষ্ঠেয় শীতকালীন অলিম্পিকে অ্যাথলেট ও প্রতিনিধিদল পাঠাতে রাজি হয়েছে। পাশাপাশি দক্ষিণের সঙ্গে নারী হকি দল গঠন করতেও সম্মত হয়েছে দেশটি। এই পদক্ষেপ ‘শান্তির অলিম্পিক’ আয়োজনে হতে সহায়তা করবে। পাশাপাশি কোরিয়া উপদ্বীপের উত্তেজনাও কমবে। অলিম্পিক শুরু হবে ৯ ফেব্রুয়ারি থেকে। এর মাত্র এক দিন আগে ৮ ফেব্রুয়ারি রাজধানীতে বড় ধরনের সামরিক কুচকাওয়াজের আয়োজন করেছে উত্তর কোরিয়া।
নিঃশর্তভাবে আলোচনার জন্য দুয়ার খোলা আছে বলে দীর্ঘদিন ধরে দাবি করছে উত্তর কোরিয়া। তবে যুক্তরাষ্ট্রের বক্তব্য হলো, আগে পরমাণু কর্মসূচি বন্ধে দৃঢ় পদক্ষেপ নিতে হবে। যদিও ট্রাম্প প্রশাসন এ ইস্যুতে মিশ্র ও পরস্পরবিরোধী বক্তব্য রেখে চলেছে।
বিডিপ্রতিদিন/ ২৮ জানুয়ারি, ২০১৮/ ই জাহান