দুর্নীতি দমন কমিশনের(দুদক) দায়ের করা দুর্নীতি মামলায় ঢাকা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সাদেক হোসেন খোকাকে ১৩ বছর কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে ১১ লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৭ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার ঢাকার ৩ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক আবু আহমেদ জমাদার এ রায় ঘোষণা করেন। রায়ে বলা হয়, আসামি খোকা ১০ কোটি পাঁচ লাখ ২১ হাজার ৮৩২ টাকা ৫৪ পয়সা অসৎ উপায়ে অর্জন করে নিজ দখলে রেখেছেন। ওই টাকার সমমূল্যের খোকার স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দেন আদালত।
এর আগে, গত ৪ অক্টোবর মামলাটিতে যুক্তিতর্কের শুনানির পর রায় ঘোষণার ২০ অক্টোবর ধার্য করেছিল আদালত। মামলায় দুদকের পক্ষে ৪০ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করেন আদালত।
সাদেক হোসেন খোকাকে পলাতক দেখিয়ে দুদক আইনের দুটি ধারায় তাকে ১৩ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এর মধ্যে ২০০৪ সালের ২৬ ধারার উপধারা ২-এ দণ্ডযোগ্য অপরাধ সংগঠনের দায়ে দোষী সাব্যস্ত করে তাকে তিন বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং এক লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
এ ছাড়া ২০০৪ সালের ২৭ ধারার উপধারা ১-এ ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং ১০ লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ড দেন আদালত।
প্রসঙ্গত, ২০০৭ সালের ৬ ডিসেম্বর সাদেক হোসেন খোকা দুই কোটি ৪৪ লাখ ৮৭ হাজার ৮৬ টাকা সম্পদের হিসাব দাখিল করেন দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক)। সম্পদের তদন্তের পর নয় কোটি ৭৬ লাখ ২৮ হাজার ২৬১ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও নয় কোটি ৬৪ লাখ তিন হাজার ৬০৯ টাকার তথ্য গোপনের অভিযোগে ২০০৮ সালের ২ এপ্রিল রমনা থানায় এ মামলা করে দুদক।
২০০৮ সালের ১ জুলাই আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। তবে সাদেক হোসেন খোকা হাইকোর্টে এ মামলা বাতিলের আবেদন করায় দীর্ঘদিন নিম্ন আদালতের বিচার কার্যক্রম স্থগিত ছিল।
বিডি-প্রতিদিন/২০ অক্টোবর, ২০১৫/মাহবুব