ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই)’র সভাপতি আবুল কাসেম খানের নেতৃত্বে ডিসিসিআই’র পরিচালনা পর্ষদের সদস্যবৃন্দ পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি) কর্তৃপক্ষের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ আফসর এইচ উদ্দিন-এর সাথে সাক্ষাৎ করেছেন।
আজ রবিবার পিপিপি কর্তৃপক্ষের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে এ সাক্ষাৎ করেন তারা।
এ সময় জাতীয় অবকাঠামো পরিকল্পনা প্রণয়ন এবং সরকারী-বেসরকারী অবকাঠামো প্ল্যাটফর্ম গঠনের তাগিদ দেন পিপিপির কর্তৃপক্ষের প্রধান নির্বাহী। এছাড়াও তিনি পিপিপি’র আওতায় বিভিন্ন মেগা প্রকল্প নির্ধারিত সময়ে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে একটি জাতীয় অবকাঠামো বাস্তবায়ন কমিটি গঠনের প্রয়োজন রয়েছে বলে, অভিমত ব্যক্ত করেন। তিনি পিপিপি’র আওতায় মেগা প্রকল্পসমূহ বাস্তবায়নের অর্থায়ন, দক্ষবলের অভাব, বিভিন্ন সংস্থা অনুমতি পত্র লাভের দীর্ঘসূত্রিতা এবং প্রকল্পের সম্ভাবনা যাচাইয়ের সময়ক্ষেপন ও খাতভিত্তিক প্রকল্প বাস্তবায়নের বিশেষজ্ঞ দলের অভাব ইত্যাদি বিষয়সমূহকে মূল প্রতিবন্ধকতা হিসেবে চিহ্নিত করেন।
সৈয়দ আফসর এইচ উদ্দিন জানান, ২০১৮ সাল নাগাদ পিপিপি’র আওতায় ১৩টি প্রকল্পে ১.৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয়ের প্রাক্কলন করা হয়েছে এবং এক্ষেত্রে সড়ক, পর্যটন, স্বাস্থ্য, বন্দর, নগারায়ন ও শিল্পখাত উল্লেখযোগ্য। তিনি আরোও বলেন, পিপিপি’র আওতায় প্রকল্প সমূহে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ১০ বছরের করমুক্ত সুবিধা প্রদান করা হয়ে থাকে এবং এ সুযোগ গ্রহণ করে দেশের ব্যবসায়ীদের অধিক হারে পিপিপি’র প্রকল্পসমূহে বিনিয়োগের আহ্বান জানান।
ডিসিসিআই সভাপতি আবুল কাসেম খান বলেন, বিনিয়োগ খাতে বিদ্যমান স্থবিরতা কমানোর জন্য বৈদেশিক সহায়তা এবং উচ্চ হারের বৈদেশিক ঋণের নির্ভরতা কমানোর জন্য পিপিপি কার্যকর প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করতে পারে। তিনি জানান, পিপিপি কার্যালয় এ পর্যন্ত ১৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের ৪৭টি প্রকল্প অনুমোদন করেছে। তিনি “ডুইং বিজনেস ইনডেক্স”-এ বাংলাদেশের অবস্থান পিপিপি কার্যালয় এবং বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা)’র মধ্যকার সমন্বয় আরো বাড়ানোর উপর জোরারোপ করেন।
আবুল কাসেম খান বলেন, ২০১৭ সালে বাংলাদেশে জিডিপি’র ২.৯৬% অবকাঠামো খাতে ব্যয় করে এবং ঢাকা চেম্বার মনে করে, এটাকে জিডিপি’র ৫% উন্নীতকরণ করতে হবে, যার জন্য প্রতিবছর অতিরিক্ত প্রায় ৪২,৫১০ কোটি টাকা প্রয়োজন হবে। ডিসিসিআই সভাপতি বিশেষ করে দেশের মেগাপ্রকল্পগুলো যথাসময়ে বাস্তবায়নের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে সরকারী ও বেসরকারী খাতের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে একটি বিশেষ অথিউরিটি “ন্যাশনাল ইনফ্রাস্ট্রকাচার ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড মনিটরিং অ্যাডভাইজরি অথরিটি (নিডমা)” নামে জাতীয় গঠনের প্রস্তাব করেন। ডিসিসিআই’র সভাপতি অবকাঠামো খাতের বিনিয়োগে আর্থিক প্রবাহ নিশ্চিতকরণের জন্য স্টক মার্কেট “বিনিয়োগ বন্ড” প্রবর্তনের প্রস্তাব করেন, যেখানে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীরা বিনিয়োগ করতে আগ্রহী হবেন।
ডিসিসিআই পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার আকবর হাকিম, আন্দালিব হাসান, হুমায়ুন রশিদ, সেলিম আকতার খান, ওয়াকার আহমেদ চৌধুরী এবং মহাসচিব এএইচএম রেজাউল কবির এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
বিডি-প্রতিদিন/১১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮/মাহবুব