শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু বলেছেন, বিএসটিআই’র (বাংলাদেশ স্টান্ডার্ড এ- ট্রেনিং ইন্সিটিটিউট) আইন ভঙ্গকারী ও খাদ্যে ভেজালের সঙ্গে জড়িতদের শাস্তি বাড়ানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে রবিবারের বৈঠকে টেবিলে উত্থাপিত প্রশ্নোত্তর পর্বে জাতীয় পার্টির এ কে এম মাঈদুল ইসলামের (কুড়িগ্রাম-৩) প্রশ্নের জবাবে জবাবে তিনি এ তথ্য জানান।
আমির হোসেন আমু আরও বলেন, সরকার ভোক্তাদের মাঝে গুণগত ও মানসম্পন্ন পণ্য সরবরাহ নিশ্চিত করতে বিএসটিআইকে শক্তিশালী ও প্রতিষ্ঠানের সক্ষমতা বাড়ানোর লক্ষ্যে অত্যাধুনিক ল্যাব স্থাপনের সাথে সাথে জেলা পর্যায়ে এর কার্যক্রম সম্প্রসারণের উদ্যোগ নিয়েছে। এছাড়া বিএসটিআই’র সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য ইতি মধ্যে অত্যাধুনিক কেমিক্যাল মেট্রোলজি ল্যাব স্থাপন, ভারতীয় অর্থায়নে খাদ্যদ্রব্য, স্বর্ণ, সিমেন্ট ও ইট পরীক্ষার জন্য আত্যাধুনিক ল্যাবরেটরি স্থাপন ও যন্ত্রপাতি কেনা হয়েছে।
এদিকে, সরকারী দলের সদস্য দিদারুল আলমের (চট্টগ্রাম-৪) প্রশ্নের জবাবে শিল্পমন্ত্রী সংসদে জানান, বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে বিসিআইস’র মালিকানাধীন ৯টি শিল্প-কারখানা বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এর মধ্যে রয়েছে খুলনা হার্ডবোর্ড মিলস, চিটাগাং ক্যামিকেল কমপ্লেক্স, নর্থ বেঙ্গল পেপারস মিলস লি., কর্ণফুলী রেয়ন এন্ড কেমিক্যাল লি., খুলনা নিউজ প্রিন্ট মিলস লি., উজলা ম্যাচ ফ্যাক্টরী লি., সিলেট পাল্প এন্ড পেপারস মিলস লি., লীরা ইন্ড্রাস্ট্রিয়াল এন্টারপ্রাইজ লি. ও রংপুর সুগার মিলস লি.। শিল্পমন্ত্রী এ সময় জনান, বর্তমান সরকার ৩টি কারখনা চালু করেছে। এছাড়া তিনটি কারখানা বিক্রি/ হস্তান্তর করা হয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/১১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮/মাহবুব